কবিতা লিখে কি পৃথিবী পাল্টানো যায়, পাল্টানো যায় কি দুনিয়া?
তবুও কবিরা কবিতা লিখে চলে
কোথায় তার ক্রিয়া প্রতিক্রিয়া?
উত্তাপহীন কবিতাসকল
তমাল সাহা
১) পঁচিশ হাজার কবিতা
পঁচিশ হাজার কবিতা লিখে ফেলেছি
এখনো ভাবি আমি কবিতা লিখি, না কবিতা আমায় লেখে
কোনটা কবিতা কোনটা অকবিতা
আমি তো বুঝিনা সে কি করে বোঝে?
বস্তির মেয়েও মা হয়, ঘরের মেয়েও হয় মা
রাজপ্রাসাদের মেয়েও তো মা
কবিতা তবে কোনটি হবে
তার গায়ে পরাতে হবে কোন জামা?
২) ক্ষমতা
এটা কোনো কঠিন পদ্য বা গদ্য নয়
হিটলার পুরুষও হয় নারীও হয়
ক্ষমতা পেয়েছে তো হাতে
এদের অবশ্য কাপুরুষ ও আনাড়ি মহিলা বলা হয়।
যা দেখাচ্ছি তাই দেখো
যা বলছি তাই বলো
যা করাচ্ছি তাই করো
একদম নয়, নড়োচড়ো!
৩) শেখা ও লেখা
নদী তো বিশাল, উঠেছো তো নায়
নাও তো ছোট, কাঠের মজবুতি দেখো
চিনে নিও বুঝে নিও মাঝির গতিবিধি
বৈঠা কোন দিকে কতদূর যায়
ভালো লাগে ভালোবাসি এটা কিছুদিন চলে
চোখের বাস্তবতায়
ভঙ্গিল নদী বাজপড়া গাছ মাথাভাঙা পাহাড় দেখা যায়
পড়ে শুধু জানা যায়, দেখে শেখা ও লেখা যায়!
৪)চোখ
প্রকৃতি তোমার কাছে আসে না
তুমিই প্রকৃতির কাছে যাও।
প্রকৃতির বুকে ঐশ্বর্য লুকিয়ে আছে
তা তুমি খুঁজে নাও।
প্রকৃতির নিজস্ব মূল্য আছে
এই বোধের জাগরণ ঘটে গেছে তার।
তোমার সম্পদ তার চেয়েও বেশি দামি
এটি না বুঝলে আগামীতে ঘনীভূত অন্ধকার।
এসব স্বাভাবিক চেতনা না জাগলে তুমি মানুষ না!
লেনিনকে লড়াইয়ের কাছে যেতে হয়
লড়াই লেনিনের কাছে আসেনা।
ঝড় বৃষ্টি কুয়াশা জ্যোৎস্না রোদ…
চোখ খোলা রাখো
কান পাতো, কথা বলছে বোধ।
৫) পাঠরীতি
মুখ দিয়ে পড়লে
পড়া সব বেরিয়ে যায়
চোখ দিয়ে নীরবে নিতে হয় আসল পাঠ
তবেই খুলে যায় যত আগল বন্ধ কপাট।