কার উত্থান হবে, কার পতন হবে কে জানে!রাষ্ট্র বা শাসক শ্রেণী কী চায়? সত্যিই কী মানুষের মঙ্গল চায়! না মানুষ আর্থিক সংকটে পড়ুক সেটা চায়! তারা তাদের তলব বেতন ইচ্ছেমতো বাড়িয়ে নেয়। নিজেরাই নিজেদের বেতন বাড়ায়। আর এখানে পার্শ্বশিক্ষকরা নিজেদের হক বেতনের দাবিতে অনশনের পর অনশন করে শীতের রাত্রি বিনিদ্র কাটায়।
উত্থান-পতনের কাব্য
তমাল সাহা
শীতের প্রহরে লবণ হ্রদ পাড়ায়
ওরা কারা? দেশের মানুষ তো!
পরিযায়ী নাকি!
ছাউনির নীচে রাত কাটায়।
মাটিতে শতরঞ্চি বিছিয়ে পাশাপাশি থাকে
বলাবলি করে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কথা
আকাশে ধ্রুব নক্ষত্র জ্বলে উত্তরদিকে
অন্তহীন মধ্যবিত্ত- বিষাদগাথা।
পরিবার ছেড়ে নেমেছে পথে
দিনমান অনশন, পেটে নেই ভাত।
দেখো মন্ত্রী আর মানুষে কোথায় তফাত।
কতদিন ঘুম নেই, হিসেব চলে রাতে।
শাসক সন্ত্রাস জারি করে
মাদারি খেল দেখায় মৌতাতে।
গণতন্ত্রের খেল দেখে প্রশ্ন তোলে
আকাশে জেগে থাকা বৃশ্চিক।
কী হবে এদের? কোনদিকে গতি?
এরা কি সত্যি দেশের নাগরিক!
খুব জরুরি নাকি
এই দেশে তোমার রুটি-রুজি- বেতন!
ওদের নাদুসনুদুস শরীর,কতো কঠোর পরিশ্রম।
শাসকের বেতন বৃদ্ধি তাই— মর্জিমাফিক ইচ্ছে মতোন।
এটাই গণতন্ত্র! এটাই গণতান্ত্রিকতা!
তুমি নির্বোধ মানুষ শাসক তৈরি করো।
নিজেই খাল কেটে টেনে আনো কুমির,
তুমি শুধু এই দেশে ভোটদাতা।
নামটি খুবই ভালো, বিকাশ ভবন!
বুঝিনা কিছুই এই মধুর উচ্চারণ
মন্ত্রীর উত্থান, না মানুষের পতন!
তবে জানি,
রাত্রির তিমির গর্ভে সূর্যের বাস
সভ্যতা মানব প্রগতির ইতিহাস।