অবতক খবর: হিংসার পর দুর্নীতি নিয়েও সরব রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। ‘পিস রুমে’র পর এবার রাজভবনে ‘অ্যান্টি করাপশন সেল’ খুলেছেন তিনি। দুর্নীতির প্রতিবাদে যে কেউ হেল্পলাইনে ফোন করে জানাতে পারেন অভিযোগ। এই ইস্যুতে এবার রাজ্য ও রাজ্যপাল সংঘাত তুঙ্গে। এবার প্রাক্তন রাজ্যপালের সঙ্গে তুলনা টেনে সি ভি আনন্দ বোসকে নিশানা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপা্ধ্যায়ের।কেন্দ্রের ইশারায় রাজ্যপাল কাজ করছেন বলে তোপ মমতার।
নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “রাজ্যপাল নাকি স্পেশ্যাল সেল করেছেন! এটা রাজ্যপালের কাজ নয়। রাজ্যপলকে আমরা শ্রদ্ধা করি। উনি রাজ্য সরকারের যেটা অধিকার সেখানে আননেশেসারি ইন্টারফেয়ার করছেন। এক্সপার্ট কমিটি তৈরি করার কাজটা তো সরকারের। উনি শুনছি কেরল থেকে কাউকে ডেকে নিয়ে এসে ভিসি করে দিচ্ছেন। তার একাডেমিক কি যোগ্যতা আছে?”
প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের সঙ্গে রাজ্যপাল বোসের তুলনা টেনে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য, “ধনকড় যখন ছিলেন তখনও অনেক বিষয়ে আমরা একমত হতাম না। ঝগড়া হয়েছে। উনি কিন্তু কোনওদিন এটা করেননি। এখন দেখছি মুখোশের আড়ালে যা বিজেপি বলছেন তাই করে দিচ্ছেন। রাজ্যপালকে দোষ দিই না। কেন্দ্রের ইশারায় এটা করছেন।”
দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই রাজ্যের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়েছিলেন প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। তা নিয়ে কাটাছেঁড়া কম হয়নি। তবে রাজ্যপাল বোসের ক্ষেত্রে শুরুর দিকে নবান্ন-রাজভবনের সম্পর্ক ভালই ছিল।
রাজ্যপালের ‘হাতেখড়ি’ অনুষ্ঠানে খোদ মুখ্যমন্ত্রীকে দেখা যায় রাজভবনে। তবে তারপর থেকেই সম্পর্কের অবনতি ঘটে। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের আবহে হিংসা নিয়ে বারবার সুর চড়ান রাজ্যপাল। দুর্নীতি নিয়েও সরব হয়েছেন তিনি। সম্প্রতি ‘অ্যান্টি করাপশন সেল’ খোলার সিদ্ধান্ত সংঘাতের আগুনে ঘি ঢেলেছে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।