অবতক খবর নিউজ ব্যুরো :: ৮ই,ডিসেম্বর :: নয়াদিল্লি :: উত্তর প্রদেশ রাজ্যের উন্নাওতে ধর্ষণের শিকার ২৩ বছরের নারীর আগুনে পুড়ে যাওয়া মরদেহ তাঁর বাড়িতেই রয়েছে। নারীর পরিবারের দাবি, শেষকৃত্যের আগে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে হবে।
এরপরই তাঁরা মরদেহের শেষকৃত্য করবেন। ওই নারীর বাবা শনিবার বলেছেন, তিনি সরকারের কাছ থেকে অর্থ বা ঘরবাড়ি চান না। তিনি শুধু তাঁর মেয়ের জন্য ন্যায়বিচার চান।
গত বৃহস্পতিবার ভোরে মামলার শুনানিতে আদালতে যাওয়ার জন্য রেলস্টেশনে যাচ্ছিলেন গণধর্ষণের শিকার ওই নারী। স্টেশনের কাছে মামলার আসামি শিবম ও শুভমসহ পাঁচজন হামলা চালায় তাঁর ওপর। পিটিয়ে, ছুরিকাঘাত করে, পেট্রল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় নারীর শরীরে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নারী গত শুক্রবার শেষরাতে মারা যান। মৃত্যুর আগে দিল্লিতে একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পুলিশের কাছে দেওয়া জবানবন্দিতে এসব কথা জানান নারী।
কয়েক মাস আগে ওই নারী থানায় গণধর্ষণের অভিযোগ করেন। এই মামলার আসামি শিবম ত্রিবেদী পাঁচ দিন আগে জামিনে মুক্ত হন। আরেক আসামি শুভম ত্রিবেদী পুলিশের কাছে পলাতক হলেও ওই নারীকে হামলার সময় অংশ নেন।
এ ঘটনার পর সমালোচনা ও বিক্ষোভের মুখে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ গতকাল শনিবার দুজন মন্ত্রীকে উন্নাওতে পাঠান। তিনি নারীর মৃত্যুতে দুঃখপ্রকাশ করেন। তিনি বলেন, দ্রুত বিচার আদালতে মামলার বিচারকাজ হবে। দোষীদের কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে।
ওই নারীর মৃত্যুর খবর শোনার পরপরই গতকাল শনিবার সকালে লক্ষ্ণৌতে বিধানসভার সামনে ধরনায় বসেন সমাজবাদী পার্টির নেতা ও রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ সিং যাদব।
উন্নাওয়ের ধর্ষিতার বাড়িতে যান কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধীও। ওই পরিবারের সদস্যদের পাশে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, উত্তর প্রদেশে নারীদের কোনো স্থান নেই। যে পুলিশ কর্মীরা প্রথমে অভিযোগ নিতে চাননি, তাঁদের বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ আজও কোনো ব্যবস্থা নেননি। শাস্তিও দেননি।
তেলেঙ্গানার রাজধানী হায়দরাবাদের নারী পশুচিকিৎসককে (২৭) গণধর্ষণের পর পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে সম্প্রতি। পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ সন্দেহভাজন চারজন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনার বীভৎসতার রেশ কাটতে না কাটতেই আবার উন্নাওতে এ ঘটনা ঘটল।