অবতক খবর,২৮ সেপ্টেম্বর,রূপম রায়,নদীয়া:- অবশেষে নদীয়ার শান্তিপুর বিধানসভার উপ নির্বাচনের দিন ঘোষণা করল নির্বাচন কমিশন। দুর্গাপুজোর পরে আগামী ৩০শে অক্টোবর হতে চলেছে উপনির্বাচন।গণনার তারিখ ধার্য হয়েছে আগামী ২ নভেম্বর।গত বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হয়ে বিধায়ক হওয়ার পর মাত্র কয়েকদিনের মধ্যেই বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন রানাঘাট লোকসভার সাংসদ জগন্নাথ সরকার।তারপরই উপনির্বাচন অবশ্যম্ভাবী হয়ে পড়ে।গত বিধানসভা ভোটের পরে করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যান তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থী ও শান্তিপুরের টানা পাঁচবারের প্রাক্তন বিধায়ক অজয় দে। যদিও বিধানসভা ভোটে রাজ্যে ব্যাপক ফলাফল করে তৃণমূল কংগ্রেস তৃতীয়বারের জন্য বিধানসভায় সরকার গঠন করে।তাই এবারের উপনির্বাচনের ফলাফল কি হবে, তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে রয়েছে জোর জল্পনা।
যদিও শান্তিপুর বিধানসভা থেকে কংগ্রেস প্রার্থী হিসেবে এক সময়ে জয়ী হওয়ার পর প্রাক্তন বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্য পরে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন। অবশ্য তিনি পরে আবার তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে চলে যান। গত বিধানসভা ভোটের পর থেকে আবার শান্তিপুরে তার উপস্থিতি লক্ষ্য করতে পারছেন এলাকার মানুষ। তাই তিনি এবার প্রার্থী হবেন কিনা, তা নিয়ে রয়েছে জল্পনা। যদিও একসময়ের পাঁচবারের বিধায়ক অজয় দের মৃত্যুর পর তার অনুপস্থিতি বোধ করছেন শান্তিপুরের মানুষ। অজয় দে শান্তিপুর পৌরসভার দীর্ঘদিনের চেয়ারম্যান ছিলেন। বর্তমানে শান্তিপুর পৌরসভার মুখ্য প্রশাসক সুব্রত ঘোষ সহ প্রসাশক মন্ডলী শান্তিপুর পৌরএলাকায় কতটা মানুষের মন জয় করতে পেরেছেন, তা নিয়েও রয়েছে প্রশ্ন। গত বিধানসভা নির্বাচনে সিপিএমের সঙ্গে জোট করে কংগ্রেস ঋজু ঘোষাল কে প্রার্থী করেছিল। এবার সেই জোট হবে কিনা, নাকি সিপিএম ও কংগ্রেস আলাদা করে প্রার্থী দেবে, প্রশ্ন রয়েছে তা নিয়েও। যদিও গত বিধানসভা ভোটে জয়ী হওয়ার পর জগন্নাথ সরকার বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর শান্তিপুর বিধানসভা দীর্ঘদিন ধরেই বিধায়কহীন। শান্তিপুর বিধানসভার এলাকার প্রায় পৌনে তিন লক্ষ মানুষ আগামী ৩০ অক্টোবর কার পক্ষে নিজেদের ভোট দেবেন, সেটাই এখন অন্যতম বড় প্রশ্ন!