অবতক খবর: মঙ্গলবার উল্টোরথ। আকাসের মুখ ভার। গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি বাংলাতেও। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, বুধবার পর্যন্ত বৃষ্টি চলবে রাজ্যের উপকূলীয় অংশে। উত্তর ওড়িশা এবং ঝাড়খণ্ডের দক্ষিণে বিরাজমান নিম্নচাপের জেরেই এই বর্ষণ বলে মনে করা হচ্ছে। ফলে বুধবার পর্যন্ত বৃষ্টি চলবে বাংলার অধিকাংশ স্থানেই। অন্যদিকে, তবে অসমের বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। বিপদসীমার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ব্রহ্মপুত্র এবং অন্যান্য নদীর জল কমতে শুরু করেছে।
দুর্যোগ থেকে রেহাই নেই উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির। অসমের ডিব্রুগড়ে প্রবল বর্ষণ চলেছে। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, মঙ্গলবারও ডিব্রুগড়ে দু’ এক পশলা বৃষ্টি হতে পারে। আকাশ থাকবে আংশিক মেঘাচ্ছন্ন।রাতভর প্রবল বর্ষণে বিধ্বস্ত মহারাষ্ট্রের মুম্বই, ঠানে-সহ বিস্তীর্ণ শহরতলি। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, ২৯ জুন থেকে ২ জুলাই পর্যন্ত ভারী বর্ষণ চলবে মুম্বইয়ের শহরতলি এলাকাগুলিতে। ফলে স্থানীয়ভাবে দেখা দিতে পারে আঞ্চলিক বন্যা। মুম্বই এবং সংলগ্ন ঠানে ও পালঘর জেলায় সোমবার কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টি চলবে পুণাতেও বুধবার পর্যন্ত।
লাগাতার ভারী বৃষ্টিতে নবাজেহাল দশা হিমাচল প্রদেশের। হড়পা বানে প্রাণ হারিয়েছেন কমপক্ষে ৬ জন। আহত অন্তত ১০।অসমে বন্যা পরিস্থিতিতে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৫ জন। অসমের বন্যার জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন প্রায় ৫ লক্ষেরও বেশি মানুষ। ভেসে গিয়েছে বিস্তৃত চাষের জমি। অন্যদিকে, হড়পা বান এবং ধসের জেরে বন্ধ চণ্ডীগড়-মানালি হাইওয়ে। আটকে পড়েছেন বহু পর্যটক। বর্ষা জোরদার ব্যাটিং করছে মরুরাজ্য রাজস্থানেও। আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী কয়েক দিন বৃষ্টি চলবে রাজস্থানের আজমের, আলওয়ার, বনসওয়ারা, ভরতপুর, ভিলওয়াড়া, বুঁদি, চিত্তোরগড়, ঢোলপুর, দুঙ্গারপুর, জয়পুর এলাকাগুলিতে। আজমের, ভিলওয়াড়া, টঙ্ক-সহ বেশকিছু জেলায় অরেঞ্জ অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে।
বর্ষণ থেকে বাদ পরেনি ভূস্বর্গ কাশ্মীর উপত্যকা। জম্মু- কাশ্মীরের বেশ কিছু অংশে সোমবার বৃষ্টি চলেছে। ধসে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন জম্মু-কাশ্মীর জাতীয় সড়কে। পাশাপাশি বৃষ্টি চলছে এবং বর্ষণের পূর্বাভাস রয়েছে দিল্লি ও সংলগ্ন এলাকা, মধ্যপ্রদেশ এবং গুজরাতেও। এদিকে পশ্চিমবঙ্গে বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রামের জন্য। উত্তর ওড়িশা ও দক্ষিণ ঝাড়খণ্ডের আকাশে ঘনীভূত নিম্নচাপ ক্রমশ ছত্তীসগড় ও মধ্যপ্রদেশের দিকে এগোচ্ছে।