অবতক খবর,১৬ই জানুয়ারি: দেশের সাধারণ মানুষ প্রশ্ন তুলে দিয়েছে এই বিজেপি সরকারের কি বৈধতা আছে? এই সরকার কেন ভেঙে দেওয়া হবে না বা এই সরকার কেন স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করবে না?

তাদের যুক্তি, যারা নাগরিক তারাই বিধায়ক বা সাংসদ নির্বাচন করে। ভোট প্রার্থী অর্থাৎ যাদের বিধায়ক বা সাংসদ নির্বাচন করা হবে তাদেরও নাগরিকত্ব থাকা চাই। সরকারের জারি করা বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী যারা ভোটদাতা অর্থাৎ যারা ভোট দিয়েছে এবং যারা এমএলএ বা এমপি নির্বাচিত হয়েছে তাদের নাগরিকত্ব কি প্রমাণিত হয়েছে? যদি না হয়ে থাকে তবে লোকসভা ও রাজ্যসভায় যে সিএএ বিল পাশ হয়ে আইনে পরিণত হয়েছে তা তো অবৈধ।

যাদের নাগরিকত্বই প্রমাণ হয়নি তাদের প্রদত্ত ভোটের পাশ হওয়া এই বিল সরকার কিভাবে আইন হিসাবে কার্যকরী করতে পারে? কার্যকরী তো দূরের কথা, লোকসভা ও রাজ্যসভায় এই বিল নিয়ে কি করে আলোচনা করতে পারে?

সাধারণের দাবি এই সাংসদরা নাগরিকত্ব প্রমাণ করতে পদত্যাগ করে নির্বাচনে পুনরায় দাঁড়াক। ভোটদাতারা ও নাগরিকত্ব প্রমাণ করে ভোটদান করুক। তারপর সিএএ লাগু করুক, আপত্তি নেই। যেখানে নাগরিকত্ব বিষয়ে নেতা, মন্ত্রী,সাংসদরাই নাগরিক কিনা প্রমাণিত হয়নি, সেই সংসদ প্রণীত আইন আমরা মানব কেন?

এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট নিশ্চুপ কেন? তারা জনস্বার্থে নিজেরাই বা স্যুয়োমোটো বক্তব্য দিচ্ছেন না বা এ বিষয়ে কথা বলছেন না কেন? সুপ্রিম কোর্ট তো দেশের সর্বোচ্চ আদালত। ‌যেহেতু দেশের সর্বোচ্চ আদালত, যেহেতু দেশ কথাটি এর সঙ্গে জড়িত, স্বাভাবিকভাবেই তাদের দেশের এবং দশের মঙ্গলের জন্য, অর্থাৎ একটা কল্যাণকর রাষ্ট্র গড়ে তোলার জন্য তারও ভূমিকা থাকা উচিত বলে দেশের জনগণ মনে করছে।