অবতক খবর,১১ই এপ্রিল: ১০ই এপ্রিল ছিল রামনবমী। আর এই রাম নবমীতে শহরের রামনবমী কমিটির পক্ষ থেকে শোভাযাত্রা বের করা হয় প্রতি বছরই। কিন্তু দেখা যায় এই শোভাযাত্রা বেরোনোর পর বিশেষ কোনো রাজনৈতিক দলের দখলদারিতে চলে যায়। এর আগে বিজপুরের যিনি বিধায়ক ছিলেন এই শোভাযাত্রা তাঁর দখলে ছিল। পরবর্তীতে বিজেপি হাওয়া বইতে শুরু করলে এই শোভাযাত্রা বিজেপির দিকে অর্থাৎ অর্জুন সিং-এর দখলে চলে যায়।

বীজপুরের ইতিহাসে এই প্রথম দেখা গেল যে, রাম নবমীর শোভাযাত্রা কারোর দখদারিতে না গিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে হল। এই শোভাযাত্রায় বীজপুর বিধায়ক সুবোধ অধিকারী এবং কাঁচরাপাড়া পৌরসভার চেয়ারম্যান কমল অধিকারী আমন্ত্রিত থাকলেও,তারা কেউ এই শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করেননি।

তাঁদের বক্তব্য, আমরা এই মিছিলে উপস্থিত থাকলেই রাজনৈতিক তকমা লেগে যেত। মানুষ ভাবতে শুরু করতেন এটা তৃণমূলের‌ শোভাযাত্রা।

এই শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করেছেন শহরের সাধারণ মানুষ। গোটা শহর ঘুরে তারা সুষ্ঠুভাবে রাম নবমীর শোভাযাত্রা করেছেন। এই শোভাযাত্রার রুট ছিল কাঁচরাপাড়া ডাকাত কালীমন্দির থেকে থানার মোড় হয়ে গান্ধীমোড়,কলেজমোড় ঘুরে ডাঙ্গাপাড়া হয়ে গন্তব্য স্থল ডাকাত কালীমন্দিরে এসে শোভাযাত্রা শেষ হয়। ‌

এই শোভাযাত্রার জন্য গোটা শহরের রাস্তাঘাট পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে, রাস্তার দুই ধারে ব্লিচিং ছেটানো হয়েছিল পৌরসভার চেয়ারম্যান কমল অধিকারী উদ্যোগে।

এ প্রসঙ্গে রামনবমী কমিটির সদস্যরা জানান, এবার সুষ্ঠুভাবে আমরা রামনবমীর শোভাযাত্রা করতে পেরেছি। আর তার জন্য আমরা ধন্যবাদ জানাই বীজপুর বিধায়ক সুবোধ অধিকারী এবং চেয়ারম্যান কমল অধিকারীকে। প্রতিবছর এই শোভাযাত্রা কারোর না কারোর দখলে চলে যায়। কিন্তু এবছর তা হয়নি আর তার জন্য আমরা অত্যন্ত খুশি।


অন্যদিকে কাঁচরাপাড়া বাগমোড় থেকে রামপ্রসাদ ঘাট পর্যন্ত ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং কা মিলিয়েছেন‌। কিন্তু রাম নবমীতে তিনি যে একটা রাজনৈতিক রঙ লাগালেন এবং এই মিছিলে শুধুমাত্র বিজেপি কর্মীদের কেউ দেখা গেল,এ নিয়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে শহরবাসীর মধ্যে। এ প্রসঙ্গে কয়েকজন তৃণমূল নেতা প্রশ্ন তুলেছেন, তিনি কি ফের বীজপুরের শান্ত পরিবেশকে অশান্ত করে তুলতে চাইছেন এইরকম কার্যকলাপের মধ্য দিয়ে??