অবতক খবর,১৭ এপ্রিল,কলকাতা,সুমিতঃ- এক বছরের ব্যবধান, তাতেই বালিগঞ্জ বিধানসভায় প্রায় ৫৫ হাজার কমেছে তৃণমূলের জয়ের মার্জিন। একুশের ভোটে প্রয়াত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় ৭৫ হাজারের কাছাকাছি ভোটে জিতেছিলেন। কিন্তু রবিবার উপনির্বাচনের ফল স্পষ্ট হতেই দেখা গিয়েছে, তৃণমূল প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয় জিতেছেন প্রায় ২০ হাজার ভোটে। তাঁর প্রাপ্ত ভোট ৫১,১৯৯। পাশাপাশি নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সিপিএমের প্রাপ্ত ভোট ৩০,৯৭১। শতাংশের বিচারে তৃণমূল পেয়েছে প্রায় ৫০% ভোট, আর বামেদের ঝুলিতে গিয়েছে ৩০.০৬% ভোট। এই আসনে তিনে বিজেপি আর চারে কংগ্রেস। জানা গিয়েছে, শুধু প্রাপ্ত ভোটের বিচারে নয়, ভোট প্রাপ্তির হারেও অনেকটা এগিয়েছে বামেরা।
কিন্তু এক বছরের মধ্যে তৃণমূলের অন্যতম শক্ত ঘাঁটি দক্ষিণ কলকাতার এই আসনে এত ভোট কমার পিছনে কারণ কী? সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন নির্বাচনী বিশ্লেষকরা। যার জবাব দিয়েছেন বিজেপি সাংসদ তথা রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এদিন তাঁকে উপ নির্বাচনের সার্বিক ফল প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে সুকান্তবাবুর জবাব, ‘সংখ্যালঘু ভোটের একটা অংশ তৃণমূল থেকে বেরিয়ে বামেদের দিকে গিয়েছে। আর আমাদের ভোটার সেভাবে ভোট দিতে বেরোয়নি।’
একই সুর শোনা গিয়েছে অপর এক বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষের গলায়। সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের দাবি, ‘উপনির্বাচনে যেহেতু কম ভোটগ্রহণ হয়েছে, তাই ফল প্রতিষ্ঠানের পক্ষেই গিয়েছে।’ অর্থাৎ তাঁর মুখে ইঙ্গিত ভোটদানের হার বাড়লে উলটে যেতে পারত বালিগঞ্জের ফল।
কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের আবার দাবি, ‘প্রচণ্ড গরমে বালিগঞ্জে সংখ্যালঘুরা ভোট দিতে যাননি। কারণ এই সময় রমজান মাস চলছে। তাই সংখ্যালঘু ভোটাররা হয়তো ভোট দিতে সেভাবে আগ্রহ দেখাননি।’
রাজনৈতিক এই যুক্তি, পাল্টা যুক্তির আবহেই রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একটি অংশ বলছে, বালিগঞ্জের ভোটারদের একটি অংশ মুসলিম অধ্যুষিত। সেই ভোটারদের একটি শতাংশ আবার তৃণমূল প্রার্থী বাবুলের চেয়ে শায়রা শাহ হালিমকে বেশি ভরসা করেছেন। তাই এই বিধানসভার দুটি ওয়ার্ড, ৬৪ এবং ৬৫-তে এগিয়ে রয়েছেন বামপ্রার্থী। বাকি ৫ ওয়ার্ডে দুই নম্বরে শেষ করেছেন তিনি।