দেশজুড়ে রাজনীতিতে দুর্বৃত্তায়ন চলছে:এটাই ভারতের গণতন্ত্র!
এক রাজনৈতিক লুম্পেনের আত্মকথা
তমাল সাহা
আমাকে বিয়োনোর পর মা গিয়েছে মরে,
মাকে একদিন ধরেছিল শহরের ফড়ে।
মা নেইতো কি,মাটিই আমার ইষ্টিশান,
জীবনযাপনে রকমফের হালের ফ্যাশন।
লোক তো নিরুপায়, কত কি করে খায়!
ডানে বামে রাজনীতি, বেশ্যারা আলোয় দাঁড়ায়।
চারিদিকে ডটকম হুন্ডা মোবাইল-দ্রুত তার গতি।
কোথাও সন্ত্রাস নামে- সেনাবুট,হাড়হিম ভীতি।
দরজায় আছড়ে পড়ে ঢেউ বিশ্বায়ন,
খোলা হাওয়া, টিভি জুড়ে যৌন আবেদন।
মাতাল! মাতাল!পকেটে রাখি মদের ছোট শিশি।
নিউ ওয়েভ নাকি! সিনেমায় দেখি পুরুষের হিসি।
গঞ্জে ঢুকেছে কেবেলের তার, শহর জুড়ে হালখাতা,
আমি কেন তবে খুঁটে খাবো এঁটো শালপাতা?
ভীতিই পণ্য এখন, ভিড়ে যাই দলে,
দাদাদের দাপটেই বিশ্বপাড়া টলে।
থোড়বড়িখাড়া শ্লোগানে জোটে না পেটের ভাত।
পয়সা পেশি পাওয়ার সবেতেই তেনাদের হাত।
রাতেতে কি কি করি,দিনেতে পোস্টার।
মিছিল মিটিং চামচাবাজি ডিউটি রোস্টার।
ভোটেরও আগে চলি আমি, নেতাদের ফেউ।
আমায় কে না চেনে, ঘোষেদের মেয়ে, বোসেদের বৌ।
দেশ চলে রাজ্য চলে, চালায় তাহারা।
ওদেরই পরিজন আমি, তাদেরই পাহারা।
নেতারা দলবদলু কখনও সিপিএম-কংগ্রেস, কখনও তৃণমূল-বিজেপি।
শাসক যেদিকে যায় আমিও সেদিকে— শ্রীমান বহুরূপী।