অবতক- এর বিশেষ প্রতিবেদনঃ

এক শিক্ষক দিবসে বিধানসভায় আমরা দুজনঃ এক অভিজ্ঞতা

তমাল সাহা

হে সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণণ!
আজ তোমার দিনটি গেল কেমন?
তুমি তো দেখলে আমাদের
বিধানসভা ভবন।

তোমার প্রতিকৃতি জুড়ে ফুলমালা,
ক্রমাগত হয় ভারি।
সবাই বলে,
তুমি আমার কত কাছের
তুমি তো আমার-ই।

আমি তোমার চোখমুখের দিকে চেয়ে….
ক্ষুদে সাংবাদিক সজ্জন
ঠ্যালা দিল সজোরে, করে সচেতন।
কি দেখছেন অমন হাঁ করে?
এ জন্যই তো আপনাকে
কোথাও আনতে চাই না।
এটা অ্যাসেম্বলি, বিধানসভা ভবন!
আপনার বাড়ি মনে করবেন না!

আমি বলি এটাকে একজন
কী বলেছেন জানিস তো! খোঁয়াড়।
খোঁয়াড়!
সেখানে কি থাকে বলতো?
জানোয়ার-শুয়ার।

আমি দেখছি রাধাকৃষ্ণণের মুখখানা
কেমন যেন ব্যাজার!
কারা দিচ্ছে কাকে
কিসব নোংরা হাতে মালা— হাজার হাজার।

কারো কাটমানি খাওয়া হাত,
কেউ কেউ স্ক্যামে জড়িত,
কেউ হাজারো মিথ্যেবাদী,ফন্দিবাজ
প্রবঞ্চক, দালাল।
তাদের হাতে মালা!
দ্যাখ, দ্যাখ রাধাকৃষ্ণণের
চোখমুখ কেমন লাল ফোলা ফোলা!

দাদা, আজ তো শিক্ষক দিবস!
উনি কি ওদের এসবের শিক্ষাগুরু?
আমার মাথায় তো বজ্রপাত।
কি বলে এই ক্ষুদে ছেলেটি, বুদ্ধি হয়নি পুরু।
নে, চল তাড়াতাড়ি হাঁট!

এই অনুষ্ঠানটি লাইভ করে
এক্ষুনি ছেড়ে দিতে হবে।
দেখবি,জনগণ খুব খাবে।

দাদা,কি হয়েছে? কাঁপছে আপনার ভুরু!
আমি বলি,
আমি যে শুয়ারের কথা বলেছি,
কেউ কি শুনেছে?
ভয়ে তো আমার বুক দুরুদুরু।

দাদা! শুনছি নাকি যার নামে শিক্ষক দিবস তিনি নাকি থিসিস চোর?
আমি বলি তুই যে কি বলিস শ্রীকৃষ্ণও তো মাখন চোর!

শোন, আজ শিক্ষক দিবসে
হবু শিক্ষকরা পথে বসে।
কে বলে, কোথায় লেখা আছে
শিক্ষকরা অতীত বর্তমান ভবিষ্যৎ?
আমি তো জন্মান্ধ তবুও দেখতে পাই
শিক্ষক মানে
অবজ্ঞা উপেক্ষা অবহেলা রক্তাক্ত পথ!

অথচ কতজন যে কীভাবে ডি.লিট পায়!
টিচার শব্দটির বর্ণমালা এদিক ওদিক করলে চিটার হয়ে যায়!
আর কত বলবো বল, এবার পালাই চল!

আমরা দুই ভাই, তমাই আর সজ্জাই
খবর ফেরি করে যাই।
আমরা ভারত নয়,
আবিশ্ব ঘুরে এসব দেখাই।