অবতক খবর,২২ জুন: এবার সরকারি কর্মচারীদের অফিসে ঢোকার সময় সীমা বেঁধে দিলেন কেন্দ্র ।এক মিনিট দেরিতেও হতে পারে শাস্তি ।

অভিযোগ, সরকারি বিভিন্ন দফতরেই সময়ের হিসাব রাখা হয় না। কর্মীরা যে যখন খুশি অফিসে ঢোকেন এবং সময়ের আগেই বেরিয়ে যান। কেউ কেউ অফিসে ঢুকে উপস্থিতি নথিভুক্ত করিয়েই আবার বেরিয়ে যান। এতে সাধারণ মানুষকেও অনেক সমস্যায় পড়তে হয়। সরকারি দফতরগুলিতে সময়ের এই সমস্যা মেটাতে বায়োমেট্রিক পদ্ধতির উপস্থিতি অনেক আগেই চালু করা হয়েছিল।

কিন্তু কোভিডের সময় থেকে সেই ব্যবস্থা পুরোপুরি কার্যকর ছিল না । অভিযোগ, তার পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও অনেক আধিকারিক সেই নিয়ম আর আগের মতো করে মানতে চাননি। সরকারি সূত্রের দাবি, এই ধরনের অনিয়ম আটকাতেই নতুন করে নিয়মের কড়াকড়ি করা হচ্ছে কেন্দ্রের তরফে।

যে কোনো কর্মচারী কর্মচারীর সারা বছরে নির্দিষ্ট সংখ্যক কিছু দিনের ছুটি বরাদ্দ থাকে। কোনও প্রয়োজনে সেখান থেকে ছুটি নিতে পারেন তিনি। এই ধরনের ছুটিকে বলে ‘ক্যাজ়ুয়াল লিভ’। কোনও কর্মী নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দফতরে না পৌঁছলে সেই বরাদ্দ ছুটির মধ্যে থেকে অর্ধদিবস কাটা যাবে তার। অর্থাৎ, দু’দিন দেরি হলেই হাতছাড়া হবে একটি আস্ত ছুটির দিন। এ ছাড়াও কোন দফতরে কোন কর্মচারী কখন আসছেন, কখন যাচ্ছেন, সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের তার দিকে নজর রাখতেও বলা হয়েছে রিপোর্টে ।

কর্মীদের বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে উপস্থিতি নথিভুক্ত করাতে হবে নির্দিষ্ট দফতরে। অর্থাৎ, নিজ নিজ পরিচয়পত্র দফতরে ঢোকার সময়ে যন্ত্রের মাধ্যমে ‘পাঞ্চ’ করাতে হবে। তাতেই উপস্থিতি নথিভুক্ত হবে। ৯টা ১৫ মিনিটের পর কেউ নিজের কার্ড ‘পাঞ্চ’ করালে তার পৌঁছতে দেরি হয়েছে বলে ধরে নেওয়া হবে।