ঝাড়খণ্ডের তিনটি খনি খাদানে কয়লার চাঙর পরে 16 জনের মৃত্যু। আরো লাশ উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
ঘটনা ১ ফেব্রুয়ারি,’২২।
আজকের দিনের কবিতা
এসো মৃত্যু লিখি
তমাল সাহা
রোজ সকালে উঠে যদি আমি মৃত্যুর খবর দিতে না পারি তবে কিসের অক্ষরজীবী আমি!
আজ মেঘাচ্ছন্ন সকাল। কুয়াশার আড়ালে ঢেকে গিয়েছে সূর্য। হিমেল বাতাস বইছে।
বাতাস হিমেল কেন,? হাড়হিম কি একে বলে? সূর্যের তেজ কুয়াশার আড়ালে ঢাকা পড়ে গিয়েছে। যারা হাঁটতে বেরিয়েছে তাদের মুখো শুকনো।
ওই যে ছেলেটি মেয়েটি ভাগীরথী তীরে বসে আছে। সকালের ভ্রমণে এসে ওরা রোজ মুখোমুখি হয়। তাদের মুখেও আজ বিষাদের ছায়া। ওদের হাতে খবরের কাগজ।
ভেবেছিলাম, বাজেটের খবর পড়ছে, চাকরির খবর আছে কিনা!
বেকার জীবনে ভালোবাসা ঘনীভূত হয়ে গেলে ঘন ঘন দীর্ঘশ্বাস পড়ে।
দেখি তারা দেখছে খনিতে চাপাপড়া নিহত মানুষের লাশ।
খনি! খনি শব্দটি থেকে খুনি শব্দটি কতদূর আমি ভাবতে থাকি।
খনি মুখ খোলা।গহ্বরের মুখ খোলা থাকে কি মৃত্যুর জন্য? খাদানের মালিকেরা দোকান খুলে রেখেছে– আয়! মৃত্যু আয়!
লাউদোহা খনি খাদানে নেমেছিল চারজন খেতে না পাওয়া দিনমজুর। খুনি মুখ খোলা ছিল। তারা কয়লা চুরি করতে এসেছিল। পেটেও আগুন জ্বলে, কয়লার গর্ভেও আগুন থাকে
কাপসার ,গোপীনাথপুর, রাবণন সিঁড়ি দাহিবাড়ি খনিমুখ হাঁ করেছিল করেছিল। কয়লা পাথরের চাঙ ধসে মারা গেছে ষোল জন।
বাতাস জ্যোতিষী হয়ে গিয়েছে। সে জানান দিয়েছে, আরো চারটি লাশ পাওয়া যাবে।
কত জনের মৃত্যু হবে তা জানে শুধু ছুটে যাওয়া বাতাস।
আর কোথায় কোথায় পাওয়া যাবে মরদেহ শব
সে বলে, আমি তো দুরন্ত ডাকহরকরা, আমার আগে কে পৌঁছে দিতে পারে খবর– জীবন্ত মৃত্যুর উৎসব!