হক জাফর ইমাম,অবতক খবর,মালদা:হার্টিকালচার প্রকল্পের নাম করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বর্তমান কংগ্রেসের প্রধান গোপাল চৌধুরীর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের চাঁচল ১ নং ব্লকের মহানন্দাপুর জিপির ধঞ্জনা গ্রামে। তবে জমির মালিক সেখ মহিরুদ্দিন জানান,’আমার চাষের জমি ফাঁকা পরে রয়েছে।কলা তো দূরের কথা আর্থিক সঙ্কটের দরুন আমি এবার সরষা চাষও করিনি। তবে জমির এক কোনে দুই কাঠাতে আলু ও বেগুন চাষ করেছি।’
তার জমিতে কলা চাষের নাম করে টাকা তোলা হয়েছে খবরটি শুনে বিষণ্ণ হয়েছে মহিরুদ্দিন নামের ওই চাষি সহ পাশের জমির চাষিরা।এ নিয়ে এলাকার তৃণমূলের প্রাক্তন উপ-প্রধান ইরশাদ আজম ফেব্রুয়ারি ০৪ তারিখে চাঁচল ১ নং ব্লক দপ্তরে বিষয়টি তদন্ত করার জন্য আবেদন জানান।আবেদনকারীর দাবী বর্তমান প্রধান উপভোক্তার জমিতে চাষ না করেই লক্ষাধিক টাকা তছরুপ করেছেন।
যদিও দূর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করেছে প্রধান গোপাল চৌধুরী। তিনি জানান তৃণমূলের আমলেই এসব হয়েছে, প্রকল্প তো ওরাই করেছিল। আমরা শুধু উপভোক্তাদের টাকা প্রদান করেছি। ফলে আমাদের উপর এখন মিথ্যে অভিযোগ দেওয়া হচ্ছে।অভিযোগকারী ইরশাদ আজম তদন্ত নামার জন্য প্রশাসনের দৃস্টি আকর্ষক করছে। কলা চাষে দূর্নীতি সপ্তাহ আগে পার্শ্ববর্তী তৃণমূল পরিচালিত ভগবানপুর গ্রাম পঞ্চায়েতেও উঠেছিল। তার রেষ কাটতে না কাটতে মহানন্দাপুর জিপিতে এই দূর্নীতি হওয়ায় পঞ্চায়েত প্রশাসনের প্রতি একরাশ ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকার চাষিরা।
এপ্রসঙ্গে চাঁচল ১ নং ব্লকের বিডিও সমীরণ ভট্টাচার্য্য জানান, ‘অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে ব্লক দপ্তরে অভিযোগ করার এক সপ্তাহ কেটে গেলেও তা তদন্ত করেনি বলে দাবী আবেদনকারীর।