অবতক খবরঃ সঠিক সময়ে অভিযুক্ত ব্রিজভূষণ শরণ সিংয়ের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দিয়ে নিজেদের প্রতিশ্রুতি পালন করেছে সরকার। তাই রাজধানীর পথে বসে কুস্তিগিরদের বিক্ষোভ শেষ। রবিবার প্রতিবাদী কুস্তিগিররা জানিয়েছেন, এবার আদালতেই লড়াই চালাবেন তাঁরা।
প্রতিবাদের তিন মুখ ভিনেশ ফোগাট , সাক্ষী মালিক ও বজরং পুনিয়ারা জানিয়েছেন, আপাতত তাঁরা সোশ্যাল মিডিয়া থেকে সাময়িক বিরতি নিচ্ছেন। আগামী ১১ জুলাই কুস্তি ফেডারেশনের নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল এবং সেখানে ব্রিজভূষণ বা তাঁর ঘনিষ্ঠরা লড়তে পারবেন না জানা যায়। কিন্তু রবিবারেই এই নির্বাচনে স্থগিতাদেশ দেয় গুজরাট হাই কোর্ট। তার ঠিক পরেই পথে নেমে প্রতিবাদের সিদ্ধান্ত পালটে ফেলেন কুস্তিগিররা। যদিও তাঁদের টুইট দেখে অনুমান, নির্বাচন অনির্দিষ্টকালের জন্য পিছিয়ে যাওয়ার খবর তাঁরা জানেন না। ভিনেশ ফোগাট, সাক্ষী মালিক ও বজরং পুনিয়া- তিন পদকজয়ী কুস্তিগির টুইট করে বলেন, “সরকার নিজের কথা রেখেছে। যৌন হেনস্তার অভিযোগ মেনে নিয়ে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছে। তাই আমরাও আর পথে বসে আন্দোলন করব না। তবে আমাদের লড়াই জারি থাকবে আদালতে। যদিও গুজরাট হাই কোর্ট সাফ জানিয়েছে, ১১ জুলাই নির্বাচন হবে না।
যৌন হেনস্তার অভিযোগ এনে ভারতীয় কুস্তি ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট ব্রিজভূষণের গ্রেপ্তারির দাবি জানিয়েছিলেন ভিনেশরা। দিল্লির যন্তর মন্তরে বসে লাগাতার প্রতিবাদ চালিয়ে যান তাঁরা। পরে অবশ্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও ক্রীড়ামন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরের সঙ্গে কুস্তিগিরদের বৈঠক হয়। আইনের উপর কুস্তিগিরদের আস্থা রাখতে অনুরোধ করা হয়। সরকারের বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যেই যৌন হেনস্তার অভিযোগে ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা করে দিল্লি পুলিশ। যদিও পকসো আইনের অভিযোগ থেকে ছাড় পান
এই টুইট করার মাত্র কয়েক মিনিট পরেই সাক্ষী ও ভিনেশ জানান, তাঁরা সমস্ত সোশ্যাল মিডিয়া থেকে সাময়িকভাবে বিরতি নিচ্ছেন। আচমকা কেন প্রতিবাদ থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত নিলেন কুস্তিগিররা? ওয়াকিবহাল মহলের অনুমান,টানা দু’মাস ধরে প্রতিবাদ মঞ্চে থেকেছেন সাক্ষীরা। যথাযথ অনুশীলন করতে পারেননি। এহেন পরিস্থিতিতে ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে এশিয়ান গেমসে অংশগ্রহণকারী কুস্তিগিরদের নাম পাঠাতে হবে। তার জন্য ট্রায়ালে নামতে হবে কুস্তিগিরদের। পদক জয়ের লক্ষ্যেই আপাতত প্রতিবাদ থেকে বিরতি নিয়েছেন বলেই ধারণা।