রাস্তায় বেরুলেই কবিতার সঙ্গে দেখা। যেদিকে তাকাই সেদিকেই কবিতা।এতো কবিতা নিয়ে আমি কি করি?

কবিতার সঙ্গে
তমাল সাহা

আমি কবিতা লিখি না
আমি কবিতার সঙ্গে থাকি
কবিতাকে নেড়েচেড়ে দেখি।

কবিতা শুয়ে থাকে স্টেশনে
বসে থাকে রাস্তায়,
কখনো ত্রাণের লাইনে দাঁড়ায়।
কখনো বাস স্কুটার থামিয়ে
আলুথালু কাপড়ে দ্রুতবেগে ছোটে
কখনো থানার সামনে বিক্ষোভ দেখায়।
কখনো মিছিল মিটিং করে
মানুষ তাতায়—
টিয়ার গ্যাস জলকামান গুলি খায়
রক্তস্রোতে রাস্তা ভেসে যায়….

কবিতা কখনো রাত্রির অন্ধকারে
নগ্ন পড়ে থাকে কবরস্থান মাঠে।
ভোরে উঠে দেখি সারারাত
শিশির মেখেছে গায়।
উৎসস্থলে জমাটবাঁধা রক্ত
পৃথিবীর দিকে মাথাউঁচু করে তাকায়।

কবিতা কখনো পুড়তে থাকে গোপনে
রাষ্ট্রের পাহারায়
শুধু দূর থেকে দেখা যায়
আগুন দাউদাউ জ্বলে হাওয়ায়।

কবিতা দুঃসাহসী বড়ো
গ্রেপ্তার হয়ে যায়
দিন কাটায় জেলখানায়
কখনো ফায়ারিং স্কোয়াডের মুখোমুখি
কখনো বা এনকাউন্টারে মারা যায়।

কবিতা অরণ্য পাহাড়ে অন্ধকারে
মেশিনগান কাঁধে ঘোরে
কবিতা গতিময় প্রহরে প্রহরে।

আমার সঙ্গে চলমান কবিতা
হাঁটতে হাঁটতে বলে,
তুমি কাছে নেবে আমায়!
মনসৃজা! বলে একবার ডাকবে
একবার অন্তত ভালোবাসবে আমায়!