কবিতার স্বেদবিন্দু
তমাল সাহা
তোমরা এই যে এতো কবিতা লেখো তার গরম লাগে?
আবহাওয়াবিদরা কবিতার শরীরের তাপমাত্রা মেপে দেখে কি
তার উষ্ণতা কত ওঠানামা করছে?
আমার কিন্তু এসব ভাবতে বেশ ভালো লাগে!
নিদাঘের এই মধ্যাহ্নবেলা পাতার আড়ালে বসে আছে পাখিটি।
বলে ওঠে, আরে কবিতাদের গরম বলে কিছু নেই, ওদের উষ্ণতা আছে।
ওদের শরীরে উদ্ভিদের ডালপালা আছে, অরণ্যের শোভা, ফুলের সুবাস আছে,
বুকে নদীর উপত্যকা আছে।
ওই দেখো মুখে বিন্দু বিন্দু ঘাম জমেছে ।
কপালের ঘাম আঁচল দিয়ে মুছতে মুছতে তোমার কাছে আসছে।
ওকে ঘাম বললে সৌন্দর্যের হানি হয়।
ওকে বলে স্বেদবিন্দু!