মানুষটির স্পর্ধা ছিল। এইভাবে সরাসরি কোনো কবি বলতে পারেনি,রাজা! তুই উলঙ্গ, তোর কাপড় কোথায়? সেই মানুষটি চলে গেল। সেই মানুষটি গান স্যালুট পেল! কারা দিল? কোনোদিন কবি কী বলেছিল, শুনুন
কবিতা মরে না
তমাল সাহা
সভাকক্ষ থেকে কিছুদূরে দাঁড়িয়ে
মানুষটি কি বলেছিল
একবার দেখে নিও তার কবিতায়।
উলঙ্গ রাজা কবিতায়
মানুষটি কাকে কি বলেছিল
একবার দেখে নিও তার কবিতায়।
সেই মানুষটি শেষবেলায়, হেমন্তের পাতাঝরা বেলায় চলে যায়।
সব মানুষই একদিন চলে যায়।
কিছু কথা রেখে যায়—
দুটি কিংবা তিনটি বাচ্চা,ব্যস্!
চতুর্থ সন্তানের প্রশ্ন উঠিয়ে নিজেই উত্তর দিয়েছিল মানুষটি কবিতার ভাষায়।
সব মানুষই একদিন চলে যায়।
অমলকান্তি রোদ্দুর হতে চেয়েছিল
তাকে নাকি বলে গিয়েছিল।
সব মানুষই একদিন চলে যায়।
কলকাতার যিশু ভিখারি মায়ের শিশু হয়ে
যাবতীয় ক্রুশ-পেরেককে তুড়ি মেরে হল্ট বলে থামিয়ে দিয়েছিল কলকাতার সমস্ত চলমান যান।
আর দাপটে মানুষটির চোখের সামনে দিয়ে চলে গিয়েছিল।বলেছিল,
দেখো কবি,আমি কি করতে পারি।
সব মানুষই একদিন চলে যায়।
তবে যুদ্ধক্ষেত্রে বিদ্রূপ ভঙ্গিতে
সশব্দে চুম্বন রটিয়ে দিয়েছিল
এই কবি একদিন হাওয়ায়।
সব মানুষই একদিন চলে যায়।
তুমি বলেছিলে,
তোমার চারদিকে বহু কিঙ্কর জুটেছে মহারাণী
কিন্তু আমি কোরাসের ভেতরে যাব না
কিন্তু আমি হাততালির জন্য
কোনদিন প্রলুব্ধ হব না।
সব মানুষই একদিন চলে যায়।
তুমি বুলেটের মতো একটি মাত্র শব্দ চেয়েছিলে যেটাকে
বন্দুকে পুরে ট্রিগারে আঙ্গুল রেখে চাঁদমারি খসিয়ে হেসে উঠতে পারো।
সব মানুষই একদিন চলে যায়।
কিছু কথা থেকে যায়—
তুমি বলেছিলে,
রাজা! তুই উলঙ্গ, তোর কাপড় কোথায়?
আর, একদিন সমস্ত ধর্মযাজকের উর্দি কেড়ে নিয়ে নিষ্পাপ বালক বলবে হাহা!
কবি মরে যায়…
কবিতা থেকে যায়।
তবে রাষ্ট্রের কৌশল বোঝা বড় দায়—
কোনো কবির জীবন কাটে জেলখানায়,
কোনো কবি রাষ্ট্রীয় গান স্যালুট পায়।