অবতক খবর,১৭ জুন: গত বছর ২০২৩ সালে ২ জুন ঘটেছিল করমণ্ডল এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনা। যা এখনও মানুষের মনে জলজ্যান্ত , এই ঘটনা কেড়েছিল বহু আপনজনের হাসি ,কেড়েছিল বহু মানুষের সন্তান , তাদের প্রিয় জনদের সেই শুন্যস্থান পূরণ হতে না হতেই আবারও ঘটে গেল কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের ভয়াবহ দুর্ঘটনা।
তবে বার বার একই ঘটনার দৃষ্টান্ত বছর ঘুরতে না ,ঘুরতেই আবারও সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ,তবে এর জন্য দায়ী কে রেলকর্মীর গাফিলতি ? না কি সিগন্যাল বিভ্রাট ?জল্পনা তুঙ্গে!
জানা যায় ,অসমের শিলচর থেকে শিয়ালদহের দিকে আসছিল কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস।সিগন্যাল লাল থাকায় নীচবাড়ি এবং রাঙাপানি স্টেশনের মাঝে দাঁড়িয়েছিল ট্রেনটি। তখন সেই লাইনেই এসে পড়ে একটি মালগাড়ি। সজোরে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের পিছনে ধাক্কা মারে সেটি।
খেলনাগাড়ির মতো মালগাড়ির উপর উঠে পড়ে এক্সপ্রেসের পিছনের একাধিক বগি লাইচ্যুত হয় মালগাড়িও।
এই বিষয়ে রেল কতৃপক্ষ জানান ,তাদের ধারণা যে লাল সিগন্যাল দেখতে পাননি মালগাড়ির চালক।সেই কারণেই একই লাইনে এসে যায় সেটি। সাধারণত যে লাইনে এক্সপ্রেস ট্রেন চলে, সেই লাইনে মালগাড়ি চালানো হয় না। মালগাড়িকে দাঁড় করিয়ে পাস করানো হয় এক্সপ্রেস। এ ক্ষেত্রে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের পিছনেই ছিল মালগাড়িটি। একই লাইনেই দু’টি ট্রেন পাস করানোর পরিকল্পনা ছিল রেলের।
তবে আগে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসকে শিয়ালদহের উদ্দেশে রওনা করিয়ে দিয়ে তার পর মালগাড়িকে পাস করানোর কথা।সেই কারণেই মালগাড়িকে লাল সিগন্যাল দেওয়া হয়েছিল।কিন্তু মালগাড়ির ,চালক সেটি দেখতে পাননি বলে তাদের অনুমান ফলে এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা ।
রেল সূত্রে খবর, পুরো ঘটনার উচ্চ পর্যায়ে তদন্ত করে দেখা হবে। প্রথম কাজ সফল ভাবে উদ্ধারকাজ সম্পন্ন করা। ঘটনাস্থল থেকে দার্জিলিং পুলিশের অ্যাডিশনাল এসপি অভিষেক রায় বলেন, ‘‘কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের পিছনে মালগাড়ি ধাক্কা মেরেছে। পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে। ২৫ থেকে ৩০ জন আহত। সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।’’