অবতক খবর :: মালদহ :: করোনা মোকাবিলায় জেলাতে ঢোকার মুখেই পরিযায়ী শ্রমিকদের শনাক্তকরণের কাজ শুরু করেছে জেলা প্রশাসন। বৈষ্ণবনগরে খোলা হয়েছে চেক পোস্ট। পরিযায়ী শ্রমিকদের চেক পোস্টে শনাক্ত করে তাঁদেরে খাবার বিলি করা হচ্ছে। পরে সেখান থেকে নিজের নিজের ব্লক অফিসে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তারপর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
চেক পোস্টে পুলিশকর্মীদের পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর্মীরাও রয়েছে। শুধু তাই নয়, লকডাউন-সহ বহিরাগতদের নজরদারি চালাতে কালিয়াচক-৩ নম্বর ব্লকে নাকা চেকিং চালাচ্ছে পুলিশ। জানাগেছে, সংশ্লিষ্ট বৈষ্ণবনগর থানার পারলালপুর ঘাট-সহ টাউনশিপ মোড় ১৬ মাইল এলাকায় চলছে নাকা চেকিং। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দীপক সরকার জানান, ‘অবাঞ্ছিত জমায়েত, বহিরাগতদের ওপর নজরদারি চালাতে নাকা চেকিং চলছে।’
জানা গেছে, গোটা জেলায় ভিনরাজ্য থেকে আসা প্রায় ৬ হাজার পরিযায়ী মানুষকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। ইনস্টিটিউশনাল কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে প্রায় ১৫০০ মানুষকে। এদিকে, স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গেছে গোটা কালিয়াচক-২ নম্বর ব্লকে এখন এখন পর্যন্ত প্রায় আড়াই হাজার মানুষ হোম কোয়ারান্টিনে আছেন। এখানে ৩টি কোয়ারেন্টিন সেন্টার খোলা হয়েছে।
তার মধ্যে উত্তর লক্ষীপুর হাইস্কুল কোয়ারেন্টিন সেন্টারে ২৪ জনকে রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে। যদিও স্থানীয় মানুষের অভিযোগ, গত এক সপ্তাহে পঞ্চনন্দপুর এলাকায় নদীপথে ও গোপনে শতাধিকের বেশি পরিযায়ী শ্রমিক প্রবেশ করেছেন। আত্মগোপন করে রয়েছেন। এর ফলে আতঙ্ক বাড়ছে। অন্যদিকে, কালিয়াচক-১ নম্বর ব্লকে ৬টা কোয়ারেন্টিন সেন্টার করা হয়েছে। কালিয়াচক-৩ নম্বর ব্লকে সাউথ মালদা কলেজে কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন ২৯ জন এবং গোলাপগঞ্জ হাই স্কুলে রয়েছেন ১৪ জন।
জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ভূষণ চক্রবর্তী বলেন,‘ কোয়ারেন্টিন সেন্টারে স্বাস্থ্য কর্মীরা কাজ করছেন। করোনা নিয়ে তৎপরতার সঙ্গে কাজ করছে স্বাস্থ্য বিভাগ।