হক জাফর ইমাম :: মালদা ::    এখনও পর্যন্ত বাংলায় কেউ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়নি। কিন্তু সেই করোনা ভাইরাসের জেরেই এবার ধাক্কা খেতে শুরু করেছে মালদা জেলার জনজীবন।

এমনিতেই মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণায় বন্ধ হয়ে গিয়েছে রাজ্যের সব স্কুল, কলেজ, পার্ক, সিনেমা হল। বন্ধের পথে শপিং মল ও মাল্টিপ্লেক্স। এবার সেই তালিকায় যোগ হতে চলেছে আধার সেন্টারও। জানা গিয়েছে এদিন থেকে মালদা জেলার সব কটি আধার সেন্টার বন্ধ হয়ে যাচ্ছে অনির্দিষ্টকালের জন্য। করোনা জনিত পরিস্থিতির উন্নতি হলে তবেই আবার খুলবে এই সব সেন্টার। কারণ আধার কার্ড করাতে হলে বা তার সংশোধনের জন্য হাতের আঙুলের ছাপ ও চোখের মণির ছবি তুলে নেওয়া হয়। যে মেশিন দিয়ে এই কাজ হয়, সেই মেশিনের মাধ্যমেই করোনা ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। তাই তড়িঘড়ি করে দিন থেকেই এই সব সেন্টার বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে বলে মালদা জেলা প্রশাসন সুত্রে জানা গিয়েছে।

তবে ধাক্কা যে শুধু আধার সেন্টারের মাধ্যমেই এসেছে তাই নয়, ধাক্কা এসেছে জেলার পর্যটন শিল্পেও। কারণ এদিন থেকেই আবার বন্ধ হয়ে যাচ্ছে জেলার গৌড় ও আদিনার সব ঐতিহাসিক সৌধগুলিও। একই সঙ্গে জেলা প্রশাসনের তরফে নির্দেশিকার মাধ্যমে বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জেলার অভিজাত মালদা ক্লাবটিকেও। বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে মালদা ইংরেজবাজার পুরসভার অধীনস্ত শুভঙ্কর শিশু উদ্যান সহ জেলার প্রতিটি পার্কও।

জানা গিয়েছে বুধবার থেকেই কেন্দ্রীয় পুরাতত্ত্ব বিভাগের তরফে মালদা জেলার গৌড়, আদিনা ও পান্ডুয়ার সকল স্মৃতিসৌধে নির্দেশিকা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, অনির্দিষ্টকালের জন্য এই সব সৌধ বন্ধ রাখা হচ্ছে। একই সঙ্গে আদিনা ডিয়ার ফরেস্টে পর্যটকদের ঢোকা নিষিদ্ধ হয়েছে। এর ফলে আগামী বেশ কয়েক মাস কার্যত পর্যটক শূন্য অবস্থাতেই দিন কাটাতে হবে মালদা জেলাকে। তার ধাক্কা আসবে জেলার অর্থনীতিতে। প্রভাবিত হবে জেলার পর্যটন, পরিবহণ ও হোটেল ব্যবসাও। টান পড়বে রুটিরুজিতেও।