বিনয় ভরদ্বাজ, অবতক খবর,কোলকাতা :: মারণ নোবেল করনা ভাইরাস কিভাবে ছড়াচ্ছে তা রোধ করতে এখন লোকজন পথে হাঁটতে শুরু করে দিয়েছে বিভিন্ন রাজ্য ইতিমধ্যে পাঞ্জাব ও ওড়িশা ঘোষণা করেছে।
ভারতবর্ষে বর্তমানে করনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা 324 ছাড়িয়ে গেছে যাদের মধ্যে 41 জন বিদেশি। এই পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে সাত জনের । আগে কর্নাটক, মুম্বই, দিল্লি এবং পাঞ্জাবে মৃত্যু হয়েছিল চার ভারতীয় নাগরিকের। পঞ্চম মৃত ব্যক্তি ছিলেন এক ইতালীয় পর্যটক। রাজস্থানের জয়পুরে মৃত্যু হয় ৬৯ বছর বয়সী ওই বিদেশি নাগরিকের। রবিবার সকালে মুম্বইতে মারা গিয়েছেন একজন। তারপরেই , বিহারেও কোভিড ১৯-এর সংক্রমণে পাটনা AIIMS মৃত্যু হল এক যুবকের আর এতেই মৃতের সংখ্যা বেড়ে 7 দাঁড়িয়ে গেল। তবে কলকাতায় করোনা ভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা চারজন হয়ে দাঁড়িয়েছে তাতে চারজনেরই বিদেশি সম্পর্ক পরিষ্কার হয়েছে।
সমস্ত রাজ্যের মুখ্য সচিব ডাকা বৈঠকে কলকাতাসহ দেশের 75 টি জেলাকে লকডাউন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে । কেন্দ্র সরকারের পক্ষ থেকে নবান্ন কে, কলকাতাকে লকডাউন করে দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
ইতিমধ্যে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত যাতে আরো ছড়াতে না পারে, তার জন্য রেলের পক্ষ থেকে, গোটা দেশজুড়ে সমস্ত ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কলকাতার মেট্রোরেল বন্ধ থাকবে 31 মার্চ পর্যন্ত। শুধু তাই নয় আন্তর্জাতিক বাস পরিষেবা ইতিমধ্যে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কলকাতা ও হাওড়ার সাবারবান ট্রেন গুলো কেউ বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। আগামীকাল থেকে 31 শে মার্চ পর্যন্ত সমস্ত লোকাল এক্সপ্রেস ও প্যাসেঞ্জার ট্রেন একেবারে বন্ধ রাখা হবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন রেল কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে রেল আধিকারিক সঞ্জয় ঘোষ।
কেন্দ্রীয় সরকারে পরামর্শের পর এনিয়ে তড়িঘড়ি রাজ্য সরকার বৈঠক করে। শুধু কলকাতা নয় রাজ্যের সমস্ত পৌর এলাকার গুলিকে বন্ধ করে দেওয়ার, লক ডাউন করার সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে বলে জানা গেছে। এমার্জেন্সি সব পরিষেবার ছাড়া সমস্ত কিছু বন্ধ করে দেওয়া হবে। শুধু তাই নয় মানুষকে ঘরে থাকতে আহ্বান জানানো হয়েছে বারেবারে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যে মানুষকে এই নোবেল করোনাভাইরাস মোকাবেলার জন্য রাস্তায় না নামার আহ্বান জানিয়ে ছেন ।
শুধু তাই নয় রাজ্যের মুখ্য মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সমস্ত মেডিকেল ও জরুরী পরিষেবার সাথে যুক্ত দের 5 লক্ষ টাকার ইন্সুরেন্স ও ছুটি ও পুজোতে বিশেষ ছুটি দেওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছেন।
সূত্রে জানা গেছে সম্ভবত আজি রাতে মুখ্যমন্ত্রী আগামীকাল থেকে রাজ্যজুড়ে সমস্ত পৌরসভা এলাকার ও কলকাতার লকডাউন এর ঘোষণা করতে চলেছেন।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন করোনাভাইরাস মোকাবিলায় মানুষের সাথে মানুষের দূরত্ব তৈরি করা অর্থাৎ আইসোলেট করে দেওয়ার ছাড়া আপাতত অন্য কোনো ভালো ব্যবস্থা কিন্তু এক চোখে পড়ছে না । এই রোগ কমিউনিটি স্তরে না ছড়ায় তার জন্যই কিন্তু মানুষকে ঘরে বসে থাকার পরামর্শ বারেবারে দেওয়া হয়েছে কিন্তু কিছু মানুষ এখনো সেগুলো শুনছেন না।