বিনয় ভরদ্বাজ ,অবতক খবর, ১লা সেপ্টেম্বর :: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা W.H.O. স্বাস্থ্য বিজ্ঞানী সৌম্য স্বামীনাথন জানিয়েছেন যে শেষ পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল না করেই বিভিন্ন রাষ্ট্র তাদের দেশে ঔষধের ব্যবহার করার জন্য ছাড়পত্র দেওয়ার অধিকার রাখে কিন্তু এটাকে খুব হালকা করে দেখান দেখলে চলবে না। তিনি বলেন করোনাভাইরাস এর জন্য ভ্যাকসিন তৈরি করতে সারাদেশে বিভিন্ন স্বাস্থ্য সংস্থা ঔষধ ভ্যাকসিন নিয়ে কাজ করে চলেছে এই মুহূর্তে বিশ্বের মোট 33 টি ভ্যাকসিন করনা ভাইরাসের তৈরি হয়েছে যার ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চলছে। তাছাড়া তিনি আরো জানান 144 টি টিকা তৈরি করা হয়েছে যা প্রথম লেভেলে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল এখনো শুরু হয়নি।
কিছু কিছু দেশে শেষ পর্যায়ে ট্রেনে চলছে যেমন ব্রিটেন আমেরিকা চীন,রাশিয়া রয়েছে। এছাড়াও সংযুক্ত আরব আমিরাত ব্রাজিল দক্ষিণ আফ্রিকা ভারত সহ অন্যান্য দেশেও প্রচুর ট্রায়াল চলছে।
উল্লেখযোগ্যভাবে সারাবিশ্বে আজ 1লা সেপ্টেম্বর পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন 2,56,70,028 জন। এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ইতিমধ্যে 8 লক্ষ 55 হাজার মানুষ। এই ভাইরাসের আতঙ্কে কাঁপছে বিশ্বের প্রায় 188টি দেশ। শুধুমাত্র আমেরিকাতে মৃত্যু হয়েছে 1 লাখ 87 হাজার 724 জন ব্রাজিলের মৃত্যু হয়েছে 1 লক্ষ 21 হাজার 515 জন মৃত্যুর তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে ভারত। ভারতে মৃত্যু হয়েছে 65 হাজার 469 জন এর।
যেহেতু আমেরিকায় মৃত্যু সবছে বেশি তাই তারা তাদের দেশবাসীদের বাঁচাতে করনা ভাইরাসের শেষ ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শেষ হওয়ার আগেই ঔষধ বাজারে ছেড়ে দেওয়ার কথা ভাবছে । আমেরিকার ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন এফবিআই এর প্রধান বিজ্ঞানী ডঃ স্টিফেন হোন এক বিদেশি মিডিয়ায় সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন যে যদি দেশের অফিসাররা মনে করেন ,যে ভাইরাসের ওষুধের ক্লিনিক্যাল টেস্ট চলছে, তার উপকারিতা বেশি ক্ষতি কম তাহলে তিনি ঔষধ ব্যবহার অনুমতি দেওয়ার ব্যবস্থা দ্রুত করতে পারেন অন্তিম পর্যায়ের টেস্ট শেষ হবার আগেই। যদিও তিনি এ কথাও বলেছেন যে ফাইনাল অনুমতি দেওয়া হবে যখন শেষ পর্যায়ে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে সম্পূর্ণ হবে।
অন্যদিকে আমেরিকার আরো এক ভাইরাস বিশেষজ্ঞ ডক্টর এন্থনি ফাউচি সতর্ক করে বলেছেন যে করোনাভাইরাস এর ঔষধ নিয়ে এত বেশী তাড়াহুড়ো না করারই ভালো তিনি বলেন যতক্ষণ ঔষধ ফাইনাল টেস্ট রিপোর্ট না আসছে বা যতক্ষণ এটি প্রমাণিত না হয়ে যায় যে এই করোনাভাইরাস কে নির্মূল করতে সক্ষম ও তার উপকারিতা নেই ততক্ষণ ঔষধ ব্যবহার না করাই উচিত তিনি আরো বলেন দ্রুত তাড়াহুড়ো করে এভাবে ঔষধ ব্যবহার শুরু করে দিলে বিশ্বে করনা নিয়ে যারা প্রকৃত ঔষধ বা ভ্যাকসিন নিয়ে গবেষণা করছেন কাজ করছেন তাদের চেষ্টায় ঘটতে পারে।
অন্যদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা W.H.O. তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে যে সকল দেশ করোনা সংক্রমনের নতুন নতুন রোগী বাড়ছে তার সত্বেও তারা তাদের দেশে লকডাউন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন তারা সারা বিশ্বকে আরো বেশি বিপদে ফেলার চেষ্টা করছেন তারা জানিয়েছে যে এখনো এখনো সময় আসেনি যে ব্যাপকভাবে ভির্ভার এলাকায় জড়ো হতে দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়ার।
W.H.O. পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে বিশ্বে প্রায় সমস্ত দেশে করোনার জন্য স্বাস্থ্য পরিসেবা প্রভাবিত হয়েছে। তারা জানিয়েছে যে ক্যান্সার ও অন্যান্য সংক্রমিত রোগের চিকিৎসা ভীষণ ভাবে প্রভাবিত হয়েছে সারাবিশ্বে। এক সার্ভেতে জানা গেছে যে বিশেষ করে আর্থিকভাবে কমজোর দেশগুলি ভীষণ বিপদে পড়েছেন।
সার্ভে অনুযায়ী করোনার জন্য বিশ্বে প্রায় 100 টি দেশের গর্ভস্থ শিশুও ফ্যামিলি প্ল্যানিংয়ের চিকিৎসা 68% ব্যাঘাত ঘটেছে তা ছাড়া মানসিক রোগে চিকিৎসার্থে 61 শতাংশ এবং ক্যান্সার চিকিৎসায় 55 শতাংশ ব্যাঘাত ঘটেছে এছাড়া প্রায় 50 টিরও বেশি দেশে ইমারজেন্সি চিকিৎসা পরিষেবা ভীষণ ভাবে প্রভাবিত হয়েছে।