অবতক খবর,৩ জানুয়ারি : কলকাতা শহর কে দূষণমুক্ত করতে ব্যাটারি অপারেটড গাড়ির প্রয়োজনীয়তা উপরে জোর দিলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। এদিন চেতলা বাসভবন থেকে ব্যাটারি চালিত গাড়িতে চালকের আসনে বসে গাড়ি চালিয়ে দেখেন তিনি। টেস্ট ড্রাইভের পর তিনি জানান, ‘আমরা চাইছি যে কলকাতা পৌর সংস্থার গাড়িগুলি কে ব্যাটারি চালিত গাড়িতে পরিণীত করতে। যাতে বেশি করে ইলেকট্রিক গাড়ি চলুক করা যায় ও বায়ু দূষণের পরিমাণ ভালো হয়। তিনি আরও জানান যে, কলকাতা পৌর সংস্থার যেসব গাড়ি ১৫ বছরের উপরে হয়ে যাচ্ছে। সেই সব গাড়ির পরিবর্তে ব্যাটারি চালিত গাড়ি করা হবে।’
এছাড়াও সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এদিন নৌশাদ সিদিকির তার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করার অভিযোগ কে খারিজ করে ফিরহাদ হাকিম পাল্টা বলেন, ‘রাজনীতি করতে গেল মাঠে নেমে রাজনীতি করতে হবে। ধর্ম অবলম্বন করে রাজনীতি করা ঠিক না। তাহলে আপনার সাথে আর বিজেপি বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সঙ্গে তফাৎ কোথায়’।
ফিরহাদ পাল্টা নৌসাদের দিকে প্রশ্ন ছুড়ে বলেন, ‘রাজনীতি করতে নেমেছেন। আমরাও আন্দোলন করেছি গ্রেফতার হয়েছি, জেলে গেছি। আপনি যদি ধর্মীয় নেতা হন তাহলে ধর্ম নিয়ে থাকুন।’ এছাড়াও নাউশাদ সিদ্দিকী কে উপদেশ দিয়ে ফিরহাদ বলেন, ‘আর রাজনীতি করতে হয় । তাহলে রাজনীতিক ময়দানে থাকতে হবে। ধর্ম কে অবলম্বন করে রাজনীতি করাটা ঠিক নয়।
যে দল সারা রাজ্য বামেদের সঙ্গে জোট করে একটা মাত্র আসন পেয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেস তাকে নিয়ে ভাববে। এগুলো হচ্ছে গায়ে মানে না, আপনি মোড়ল। দিলীপ ঘোষের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিয়ে মন্তব্যের পাল্টা জবাব দিয়ে ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘তাহলে বাংলা থেকে একজনও সাংসদ সংখ্যালঘু থেকে নেই কেন বিজেপির। কেনো একজন উত্তর প্রদেশ থেকে সংখ্যালঘু সাংসদ নেই বিজেপির। কোনো কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় একজন সংখ্যালঘু মুখ নেই। তাহলে এটা ধর্মীয় পার্টি না তো কি? আসলে সৌ চুহে মারকে বিল্লি হজ কো চলী। বিজেপির অবস্থা তাই হয়েছে। কি করে সংখ্যালঘু ভোট কে নেওয়া যায়। কিন্তু আমরা জানি যারা দু হাজার লোক কে খুন করেছে। যারা দিল্লিতে এত বড় হত্যা লীলা চালিয়েছে। তাই মানুষ জানে যে শুধু সংখ্যালঘু নয়। মানুষ যারা ধর্মনিরপেক্ষ পথে চলেন। তারা কক্ষণই বিজেপি কে সমর্থন করবেন না’ বলে দাবি করলেন ফিরহাদ হাকিম।