অবতক খবর, উত্তর ২৪ পরগণাঃ কলকাতা বিমানবন্দরে ধরা পরল দুই রোহিঙ্গা মহিলা। নাম ভাড়িয়ে শেষরক্ষা হল না। তাদের গ্রেফতার করেছে এনএসসিবিআই থানার পুলিশ। এদের বিরুদ্ধে ফরেনার্স এক্টে মামলা রুজু করেছে পুলিশ।
কলকাতা থেকে ব্যাংককের থাই এয়ারওয়েজের বিমান, কলকাতা থেকে ব্যাংকক যাওয়ার সময় এই দুই মহিলা যাত্রীর কথাবার্তায় সন্দেহ হয় অভিবাসন দপ্তরের আধিকারিকদের। তাদের পাসপোর্ট পরীক্ষা করে নাম রিনা সাহা ও তানিয়া বিশ্বাস পাওয়া যায়, ঠিকানা হাবরা। কিন্তু নথিপত্র ঘেঁটে দেখতে ঝুলি থেকে বিড়াল বেরিয়ে আসে। তাদের আসল নাম রোকসানা আক্তার ও তসলিমা পাওয়া যায়। আটক দুই মহিলাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে অভিবাসন দপ্তরের আধিকারিকরা জানতে পারে এরা মায়ানমারের তাংশুড়ি বাসিন্দা। এরপরেই এদেরকে তুলে দেওয়া হয় এনএসসিবিআই থানার পুলিশের হাতে।
পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করে জানার চেষ্টা করছে মায়ানমারের রোহিঙ্গা দুই মহিলা কি করে ভারতীয় পাসপোর্ট তৈরি করল এবং কার সাহায্যে পাসপোর্ট তৈরি করা হল। কার সাহায্যে তৈরি করা হল জাল নথি? তাদের সঙ্গে কি আরও রোহিঙ্গা রয়েছে? এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর জানতে ধৃতদের জিঞ্জাসাবাদ করা হচ্ছে। পাশাপাশি, এনএসসিবিআই থানার পুলিশ এই ঘটনার সঙ্গে বড়সড় কোনও চক্রের যোগ আছে কিনা খতিয়ে দেখছে। দুই মহিলাকে আজই বারাকপুর আদালতে পেশ করা হবে।
গোয়েন্দা সূত্রে খবর, কয়েকদিন আগে বাংলাদেশ থেকে ঘোজাডাঙ্গা সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে রোহিঙ্গাদের প্রায় ৩০ জনের একটি দল ভারতে প্রবেশ করে। তারা দালাল মারফৎ ভারতীয় পাসপোর্ট জোগাড়। সন্দেহ এড়াতে হিন্দু নাম গ্রহণ করেছিল ধৃতরা। ভারত থেকে ইন্দোনেশিয়া যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল ধৃত দুই মহিলার। সেখানেই একজনের স্বামী কর্মসূত্রে থাকায় ওই দেশে পালিয়ে যাওয়ার ছক কষেছিল তারা। তবে গোয়েন্দাদের কাছে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হচ্ছে দলের বাকি ২৮ জন কোথায়?