অবতক খবর, ২৭ অক্টোবরঃ নবমীর দিন বঙ্গসংস্কৃতির মুখে কলঙ্ক লেপন করলো বঙ্গের রূপকার বলে কথিত বিধানচন্দ্র রায়ের মানস কন্যা কল্যাণী। কল্যাণী ইতোমধ্যে নাট্যচর্চার পীঠস্থান হিসেবে পরিচিতি পেয়ে গেছে। কল্যাণীর বইমেলা সংস্কৃতি নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে। বিভিন্ন সাহিত্য পত্রিকা ও সুধীজনের সমাবেশ সেখানে। সতীমার মেলার লোকসংস্কৃতির ঐতিহ্য বহন করছে কল্যাণী। যুগসন্ধিক্ষণের কবি- সাংবাদিক ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত ও সাহিত্যিক বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্মভূমি বিধৌত এই অঞ্চল।
শারদ উৎসবের নামে এই কল্যাণীকে কলঙ্কিত করল কারা? শহরের সেন্ট্রাল পার্ক নামে পরিচিত এই পার্কে শারদ উৎসবে আনন্দের নামে মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করা হয়েছে। করোনা সংক্রান্ত সমস্ত বিধি নিষেধকে লংঘন করে অষ্টমীর রাতে চটুর হিন্দি গানের সাথে উদ্দাম নৃত্য অনুষ্ঠান চলেছে মাঠ জুড়ে। অসংখ্য মানুষ সেই নৃত্যে পা মিলিয়েছে। অদ্ভুত আশ্চর্যজনক ঘটনা ঘটেছে কল্যাণীতে। কোন দুঃসাহসে এরা কোর্টের আদেশ অমান্য করে সমবেত হয়েছে কে জানে। এতে যে করোনার সংক্রমণ দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে এই বিষয়টি তারা মাথায় রাখেননি।
কল্যাণীর এই উন্মত্ত সংস্কৃতি নেট দুনিয়ায় ভাইরাল হয়েছে এবং কল্যাণীর জীবনে একটা কলঙ্কজনক ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। জানা গেছে এই পুজোর সঙ্গে জড়িত রয়েছেন একজ কাউন্সিলর যিনি নিজেকে সংস্কৃতিমনস্ক বলে মনে করেন। প্রশ্ন উঠেছে এই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বললাম মাঝি কি করছিলেন তখন?
এই নাচের ভিডিও নেট দুনিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।
এদিকে পুজোর পর্বে হাইকোর্টের আদেশকে রীতিমতো চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে কল্যাণীর এক নেতা। তিনি পোর্টাল মিডিয়ায় সরাসরি জানিয়ে দিয়েছেন মায়ের আরাধনা করবোই। মা আসছেন,এটা উৎসব। কোর্টের নির্দেশ সে বিষয়ে তিনি বলেন, কোর্ট যা পারে করে নিক। আমরা মাতৃ আরাধনায় মাতবই। এতে কার মুখ পুড়ছে তিনি বুঝতে পারছেন না। মহামান্য হাইকোর্টকে অমান্য করা হচ্ছে, এটা যে গণতন্ত্র বিরোধী কথাবার্তা,এটা তিনি বোঝেননি।কল্যাণীর মুখ পুড়ল কার বা কাদের কারণে?