অবতক খবর,২৬শে নভেম্বর: কাঁচরাপাড়ার রাস্তা জুড়ে বেআইনি দখলদারি চলছে, এমনকি ও পিডব্লুডি-র জায়গায় বেআইনি নির্মাণ চলছে। এগুলির মদতদাতা শাসকপুষ্ট তৃণমূল কর্মীরা। এই কাঁচরাপাড়া অঞ্চলের এক এক অঞ্চলে এক এক তৃণমূল নেতার দাদাগিরি, খবরদারি এবং রুস্তমি চলছে। এই রুস্তমিতে শারীরিক নিগ্রহের ঘটনা না ঘটলেও, রীতিমতো খবরদারি এবং দখলদারি চলছে।
লক্ষ্মী সিনেমা অঞ্চলে পিডব্লুডি-র জায়গায় যে নির্মাণকার্য চলছিল তাতে দোকান ঘর নির্মিত হচ্ছিল। সূত্রের খবর, প্রতিটি ঘরের জন্য তিন লক্ষ টাকা করে কামিয়ে নিতে চলেছিলেন তৃণমূল আশ্রয়পুষ্ট আঞ্চলিক নেতারা। ফলত পিডব্লুডি-র জায়গা দখল হয়ে যাচ্ছে এবং তার পিছনে যে সমস্ত জমিজমা রয়েছে সেই সমস্ত জমিজমার মালিকরা খুব বেকায়দায় পড়ে গিয়েছেন। কারণ সামনের অংশ দখলদারি হয়ে যাওয়ায় পেছনের অংশে নির্মাণ করা, দোকান করা,বাস করা অসম্ভব হয়ে পড়বে বলে তারা মনে করছেন।
লক্ষ্মী সিনেমা অঞ্চলে এই নির্মাণ নিয়ে ব্যবসায়ীরা তৃণমূল জেলা নেতা সুবোধ অধিকারী সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তিনি পরিষ্কার জানিয়ে দেন, ‘আমি জেলা সম্পাদক থাকতে এখানে কোন বেআইনি কামাই বাজির কর্ম চলবে না।’ তিনি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনাকালীন আইসিকে জানিয়ে দেন যে, তিনি যেন কোন দল মত না দেখেন। বেআইনি কাজের বিরুদ্ধে তাকে হস্তক্ষেপ করতেই হবে। তিনি আইসিকে জানিয়ে দিয়েছেন, ‘কোন প্রশ্নের বিষয় নেই , কোনো উত্তর দেওয়ার প্রয়োজন নেই, আপনি কেবল একশন করে যাবেন।’ এককথায় তিনি বলেন,”নো কোয়েশ্চেন,নো অ্যানসার অনলি একশন”ঋ এই বেআইনী নির্মাণের কথা পৌর প্রশাসনকেও জানিয়ে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে পৌর প্রধান নিজে সক্রিয় হয়ে এবং পুলিশের সাহায্যে সেই নির্মাণ ভেঙে দেওয়া হয়। অর্থাৎ কামাইবাজির উপর একটি হস্তক্ষেপ নেওয়া হয় পৌর প্রশাসন এবং শাসক দলের নেতৃত্বের পক্ষ থেকে। এটি একটি শুভ লক্ষণ।
অন্যদিকে কামাইবাজির সঙ্গে যারা যুক্ত তারা পাল্টা প্রশ্ন তুলেছেন,তাহলে তাদের মতো বেকার তৃণমূল কর্মীরা যাবেন কোথায়? অর্থাৎ যাবেন কোথায় এই প্রশ্ন তারা দলীয়ভাবে তুলছেন না, প্রশাসনের কাছে তুলছেন না নিজের শাসকদলের কাছে তুলছেন না। তারা নিজেরাই তাদের কামাইবাজির পথটি খুঁজে নিচ্ছেন। রাজনৈতিকভাবে এই আন্দোলনটি তাদের গড়ে তোলা উচিত ছিল। তাদের নিজেদের রাজনৈতিক শাসকদের কাছে প্রশ্ন করি উচিত ছিল। অথচ তারা নিজেরাই দায়িত্ব নিয়ে বেআইনিভাবে এই কাজ করে নিজেদের পুঁজি তৈরি করছেন। এটা যে রীতিমতো গর্হিত অন্যায় এবং অপরাধ তারা তা বুঝছেন না।
অন্যদিকে কাঁচরাপাড়া অঞ্চলের রাস্তাঘাট, বিশেষ করে গান্ধীমোড় থেকে স্টেশন সংলগ্ন অঞ্চলে যেভাবে যেভাবে যানজট তৈরি হচ্ছে, যেভাবে হকার, সাইকেল স্ট্যান্ড, রিক্সা স্ট্যান্ডে আটকে যাচ্ছে তাতে জনজীবন বিপর্যস্ত হচ্ছে এবং ব্যবসায়ীদের ব্যবসা মার খাচ্ছে,এই অভিযোগও তারা কাঁচরাপাড়া পৌরপ্রধান সুদামা রায় কাছে তুলেছেন ।