অবতক খবর,২৬ মার্চ: গোটা ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের একটি অন্যতম ব্যবসায়ীক কেন্দ্র হল কাঁচরাপাড়া। কিন্তু এই ঐতিহ্যবাহী শহরকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছে কারা?? এই একটি বড় প্রশ্ন। কারণ শহরের যা পরিস্থিতি তাতে বাইরে থেকে কেউ যদি আসে তবে শহর সম্পর্কে দুটি কটু কথা বলতে বাধ্য।
শুরু হয়েছে চৈত্র সেল। আর এই চৈত্র সেল যেন এই শহরে একটা উৎসব। কিন্তু এই সেলকে ঘিরে যে সাধারণ মানুষের কতটা ভোগান্তি হয়,সেই কথাই আজ আমরা তুলে ধরছি এই প্রতিবেদনে। এই সেলের মার্কেটে কাঁচরাপাড়া রেল স্টেশন থেকে গান্ধীমোড় পর্যন্ত আসতে সম। লেগে যাচ্ছে প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা। এমনিতেই গান্ধীমোড় থেকে থেকে রেল স্টেশন যাওয়ার রাস্তা দুটি অত্যন্ত সংকীর্ণ। তার উপর এই চৈত্র সেলে রাস্তার দুধার দখল করে যে যার মতো বসে গেছে। আর মানুষের ভিড়ে রাস্তায় জনসমুদ্র। যানবাহন চলাচল অত্যন্ত দুর্বিষহ। কোন যদি কোন জরুরি অবস্থায় ওই রাস্তা দিয়ে যেতে হয়,তবে পড়তে হবে মহা বিপদে।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করছেন,বহিরাগতদের দ্বারা অঞ্চলটি সম্পূর্ণ দখল হয়ে গেছে।
একটি বিষয় উল্লেখ্য যে,বেশ কয়েকবছর আগে রাস্তার ধারের ফুটপাত ব্যবসায়ীদের তুলে এনে বসানো হয়েছিল বিবেকানন্দ মার্কেটে। কিন্তু তা সত্ত্বেও রাস্তার দুই ধারের দখলদারি মিটল না।
ওই অঞ্চলের স্থায়ী ব্যবসায়ীরা কাঁচরাপাড়া পৌরসভার নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান এবং বীজপুর বিধায়ক সুবোধ অধিকারীর কাছে আবেদন করেছেন যে,এই সমস্যার যেন স্থায়ী সমাধান হয়। চৈত্র সেলের বাজার উঠে যাওয়ার পরও এই সমস্যা গোটা বছর ধরে চলে। ওই রাস্তার ফুটপাতে বসে যাচ্ছে একের পর এক দোকান। অথবা মানুষজন রাস্তার দুধারে সাইকেল,গাড়ি ইত্যাদি রেখে রাস্তা সম্পূর্ণ আটকে দিচ্ছে। যার জেরে প্রায় প্রতিদিনই ঘটছে দুর্ঘটনা এবং ভোগান্তি হচ্ছে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে ব্যবসায়ীদের।
এই চৈত্র সেলের বাজারে ওই রাস্তা দিয়ে কোন অ্যাম্বুলেন্স অথবা দমকলের গাড়ি পর্যন্ত যেতে পারে না।
গতকাল অঞ্চলের এক প্রতিষ্ঠিত নেতার সঙ্গে হকার্সদের গন্ডগোলের সৃষ্টি হয়। গান্ধীমোড় থেকে স্টেশন যাওয়ার পথে যে ছোট ছোট ইউটার্ন রয়েছে, সেখানে পর্যন্ত দোকান বসে রাস্তা আটকে গেছে। দেখা গেছে সেখানে তারাই দোকান বসিয়েছে যাদের বিবেকানন্দ মার্কেটে দোকান রয়েছে। শুধু একটা নয়,দুটো দোকান বসিয়ে দিয়েছে এই চৈত্র সেলে।
এই নিয়েই গন্ডগোল। ওই নেতার বক্তব্য,যার একটি দোকান বিবেকানন্দ মার্কেটে রয়েছে,সে আবার কেন রাস্তা দখল করে দুটি দোকান বসাবে? তবে বিবেকানন্দ মার্কেটের দোকান সে ছেড়ে দিক।
বিবেকানন্দ মার্কেটের কিছু কিছু ব্যাবসায়ী এমন রয়েছে যে,তারা তাদের দোকান ভাড়া দিয়ে রাস্তায় জায়গা দখল করে দোকান বসিয়েছে। এমনই একের পর এক অভিযোগ উঠে আসছে।
এমন পরিস্থিতি যে,একটি সাইকেল পর্যন্ত যেতে পারছে না ওই রাস্তা দিয়ে। এই পরিস্থিতিতে যদি কোন বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটে তবে এর দায় নেবে কে? প্রশ্ন তুলেছেন ব্যবসায়ীরা।