অবতক খবর,২১ ডিসেম্বর: কাঁচরাপাড়ায় পুকুর মাফিয়ারা এখন আর কোন পুকুরই ছাড়তে রাজি না। কাঁচরাপাড়া অঞ্চল এখন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের উত্থান-পতন নিয়ে ব্যস্ত। অন্যদিকে নজর দেওয়ার সুযোগ নেই রাজনৈতিক দল থেকে শুরু করে প্রশাসনের।এটাই তাদের সুযোগ। আর সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে তারা বেশ ভালোই জানে। তাই এই পুকুর মাফিয়ারা যে যেখানে পুকুর পাচ্ছে ভরাট করে বিক্রি করে দিচ্ছে।
দীর্ঘকাল ধরে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলে আসছেন “জল ধরো,জল ভরো” কিন্তু পুকুর মাফিয়ারা এখন “পুকুর ভরো,বিক্রি করো” এই নীতি নিয়ে চলছে। লক্ষ লক্ষ টাকায় বিক্রি হচ্ছে পুকুর ভরাট করে তৈরি হওয়া এই জমি।
কাঁচরাপাড়া ১৯ নং ওয়ার্ড জোড়া পুকুর, যেখানে দীর্ঘদিন ধরে ছট্ পুজো হয়। কিন্তু জায়গাটি ছোট হতে থাকায় এখন সেখানে আর পুজো করার মত জায়গা নেই। ফলে এখন অন্য জায়গায় পুজো করেন মানুষ। এমনকি যেখানে ঠাকুর রেখে পুজো করা হত সেখানে তো ঘরবাড়ি তৈরি হয়েছেই, এমনকি পুকুরেও নোংরা আবর্জনা ফেলে ভরাট করে জমি তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। আর সেই জমির দাম উঠেছে প্রতি কাঠা ৬ লক্ষ টাকা।
১৯ নং ওয়ার্ডের জোড়া পুকুর সংলগ্ন দেবেন বাবু রোড,ধনু ইলেকট্রনিক্সের পাশের পুকুরের মালিক বাবু পাল।
আর জানা গেছে,এই পুকুর ভরাট করছে কাঁচরাপাড়া সমাপন ক্লাব সংলগ্ন অঞ্চলের বাসিন্দা অনিল বাড়ৈ। এলাকাবাসীদের অভিযোগ,এই অনিল বাড়ৈ পুকুরটি ভরাট করে মোট তিনটে প্লট বেআইনিভাবে বিক্রি করছে।
এ বিষয়ে স্থানীয় নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, বিষয়টি গোচরে এসেছে। আসল ঘটনাটি জেনে আপনাদের জানানো হবে।
এদিকে স্থানীয়রা জানান,অঞ্চলে যে ড্রেন ছিল সেটাও ভরাট হয়ে গিয়ে জমি হয়েছে। ফলে অঞ্চলে যত বাড়ি আছে,সব বাড়ির জল গিয়ে পড়ে ওই পুকুরে। এখন যদি এই পুকুর ভরাট হয়ে যায় তবে এই বাড়ির জল কোথায় যাবে?
অন্যদিকে এই পুকুর ভরাট করে যে জমি তৈরি করা হয়েছে,সেই জমির মাপজোকও ইতিমধ্যে হয়ে গেছে এবং খুব শিগগিরই বিক্রি হয়ে যাবে জমিটি। এমনই জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
আসল কথা যেটি, এতে নিশ্চিত রয়েছে শাসকশ্রেণীর হাত। নির্বাচন আসন্ন। এ বিষয়টি যে ভোটে তাদের বিরুদ্ধে যাবে তারা তা বুঝতেই পারছে না। সুপ্রিমো চাই বলুক সমাজকে, মানুষের জীবনকে উপেক্ষা করে কামাইবাজি চলবেই।