অবতক খবর,১১ ফেব্রুয়ারি: কাঁচরাপাড়ায় কোচ ফ্যাক্টরি হচ্ছে অসংখ্য বেকারের চাকরি হবে এমন প্রত্যাশা নিয়ে বসেছিলেন কাঁচরাপাড়ার বেকার যুবকের দল।‌ এই কোচ ফ্যাক্টরি অন্ততপক্ষে দুবার সাড়ম্বরে উদ্বোধন হয়েছে।প্রথমবার হাইন্ডমার্স ইনষ্টিটিউট ময়দানে উদ্বোধন কালে মমতা ব্যানার্জি স্বয়ং হাজির ছিলেন,হাজির ছিলেন তৃণমূল সর্বভারতীয় নেতা মুকুল রায়, দীনেশ ত্রিবেদী। দ্বিতীয়বার উদ্বোধন হয়। সেই উদ্বোধন পর্বে প্রধান ভূমিকায় ছিলেন ব্যারাকপুরের প্রাক্তন সাংসদ দীনেশ ত্রিবেদী।

কিন্তু সেই কোচ ফ্যাক্টরির বর্তমান অবস্থা কি? দীর্ঘ কত বছর অতিক্রান্ত হল? তারও হিসেব নেই। কাঁচরাপাড়ার মানুষ এই হিসেব করতে করতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন। এদিকে তৃণমূল দলে থাকাকালীন ২০১৯ সালে শুভ্রাংশু রায় ঘোষণা করেছিলেন, তিনি তৃণমূল দল ছাড়ছেন না যদি তিনি মূল দল ছেড়ে বিজেপিতে যান,তবে বিজেপি নেতৃত্বের কাছ থেকে কোচ ফ্যাক্টরির প্রতিশ্রুতি নিয়েই তিনি সেই দলে যোগদান করবেন। অর্থাৎ তিনি ওয়াদা করেছিলেন এখানকার বেকাররা যাতে চাকরি পায় এবং কোচ ফ্যাক্টরি নির্মাণের প্রতিশ্রুতি যদি বিজেপি দেয় তবেই তিনি সেই দলে যাবেন। কিন্তু জনগণ মনে করছেন ইতিমধ্যেই তিনি তাঁর সেই ওয়াদা ভুলে গিয়ে সম্পূর্ণরূপে পাল্টি খেয়েছেন এবং দলবদলুতে পরিণত হয়েছেন।

তিনি বিজেপিতে গিয়েছেন। কিন্তু বিজেপিতে যাওয়ার পর কাঁচরাপাড়াবাসীর কাছে এই কোচ ফ্যাক্টরি নির্মাণ সংক্রান্ত বা বেকারদের চাকরির সুযোগ করে দেওয়ার বিষয় সংক্রান্ত কোনো উচ্চবাচ্য করেননি বা এখনো পর্যন্ত করছেন না।

অন্যদিকে কাঁচরাপাড়ার কোচ ফ্যাক্টরি নির্মাণ একটা হাসির খোরাক হয়ে দাঁড়িয়েছে। এবারের বাজেটে বিজেপি পরিচালিত কেন্দ্রীয় সরকার কাঁচরাপাড়া কোচ ফ্যাক্টরির জন্য মাত্র ১ হাজার টাকা মঞ্জুর করেছেন। অদ্ভুত এই বাজেট। কিন্তু এ বিষয়ে বর্তমানে বিজেপি নেতা বীজপুরের অধিবাসী, বীজপুরের বিধায়ক শুভ্রাংশু রায়ের মুখে কোন রা নেই। তারা যখন জনসংযোগে যাচ্ছেন তখন তারা বেকারদের এই স্থানীয় কারখানায় যে কর্মের সংস্থান বা কোচ ফ্যাক্টরি নির্মাণের বিষয়ে কিছুই বলছেন না। ফলত এই অঞ্চলের অধিবাসীরা অত্যন্ত বিক্ষুব্ধ।

তারা মনে করছেন কোচ ফ্যাক্টরির জন্য ১ হাজার টাকা মঞ্জুর করা মানে কাঁচরাপাড়াবাসীকে তথা বীজপুরবাসীকে অপমানিত করা, অসম্মান করা। এতে কি বীজপুরের নেতাদের কোনো মর্যাদা ক্ষুন্ন হচ্ছে না? তাদের চামড়া কি গন্ডারের চামড়ার মত এতোই মোটা হয়ে গিয়েছে? কি বিরোধী পক্ষ, কি শাসক পক্ষ এমনকি বাম দলও এ ব্যাপারে কোন আন্দোলনে নামছে না কেন, কেন সোচ্চারে প্রতিবাদ করছে না,এ বিষয়েও জনগণ অত্যন্ত ক্ষুব্ধ।