অবতক খবর,৬ মার্চ: কাঁচরাপাড়ার চেয়ারম্যান কে হবেন এই নিয়ে কাঁচরাপাড়াবাসীর মধ্যে, রাজনৈতিক মহলে এমনকি তৃণমূল দলেও বিশেষভাবে আলোচনা চলছে। বিভিন্ন ওয়ার্ড ঘুরে আমাদের প্রতিবেদকরা জানতে পেরেছেন যে,ভোটারদের সংখ্যাগরিষ্ঠের মতামতকে যেন মর্যাদা দেওয়া হয়। কারণ ভোটাররাই কাউন্সিলর নির্বাচন করেছেন। তারা দলের মধ্যে কোন গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চান না।

ফলত, যেহেতু তারা একটা নগরের অধিবাসী,নগর পরিষেবা যাতে সুষ্ঠুভাবে চলে সেখানে কাউন্সিলরদের মধ্যে যাতে দ্বন্দ্ব না থাকে, সংখ্যাগরিষ্ঠ কাউন্সিলর যেদিকে,তাদের হাতেই যেন ক্ষমতা থাকে,তবে নগরের পরিষেবা পরিচালনা করতে নিশ্চিতভাবে এটাই বাস্তব অভিজ্ঞতা। সবসময়ই উপরের নির্দেশ চাপিয়ে দেওয়া রাজনৈতিক মানসিকতার পরিচয় বহন করে না। পৌরসভা নির্বাচন একদম গ্রাস রুটের নির্বাচন। সেখানে সেই জনমতকেই প্রাধান্য দেওয়া উচিত বলে তারা মনে করছেন। যদি কাঁচরাপাড়া পৌরসভায় গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকে এড়িয়ে যেতে হয় গুরুত্ব দিতে হয়,নগর পরিষেবার কাজ যদি যথাযথ করতে হয়,তাহলে উপর থেকে নির্দেশ চাপিয়ে দিতে হলে সেটা অন্য দিকে মোড় নিতে পারে বলে কাঁচরাপাড়া বাসীর মনে ধারণা।

কারণ এখানে জনমত কোন দিকে প্রতিফলিত হয়েছে,জনমতকেই মান্যতা দেওয়া উচিত। রাজনৈতিক নির্দেশ বা দলীয় নির্দেশ আলাদা। ‌ কিন্তু ভাবতে হবে যিনি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবেন, তিনি এই অঞ্চলের অর্থাৎ কাঁচরাপাড়ার যথার্থ জনপ্রতিনিধি। পরিষেবার কাজ তিনি এমনভাবে যাতে তিনি করতে পারেন। কোনরকম নিজের বিরোধী কাউন্সিলর থেকে বাঁধা না আসে। এতে জনকল্যাণই,নগর পরিষেবাই ব্যাহত হবে। তাই এখানকার বিভিন্ন কাউন্সিলরের সঙ্গে যোগাযোগ করে দেখা গেছে,তারা নিজেরাই বলছেন হ্যাঁ পরিষ্কার, যে চেয়ারম্যান তিনি তো দলীয় নেতা হবেন।

সুতরাং কাউন্সিলরদেরও তো তিনি নেতা হবেন। ফলত সংখ্যাগরিষ্ঠ কাউন্সিলররা যাকে নেতা বলে মনে করে নেবেন, তিনিই তো চেয়ারম্যান হবেন।ফলত এটি গোপনে নিশ্চিত ভোটাভুটিও হওয়া উচিত এবং কার জনপ্রিয়তা বেশি এটা দেখা উচিত। সবসময় হুকুমদারি, নির্দেশ, উপরিতলার চাপ থেকে কেউ লিডার বা নেতা বনে যেতে পারেন। কিন্তু তিনি জনসংযোগের কাজে যথাযথ পালন করতে পারবেন না।

 

বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলররা আলোচনায় জানিয়েছেন, জেলা নেতৃত্বে রয়েছেন পার্থ ভৌমিক। সুপ্রিমো রয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সর্ব ভারতীয় নেতা রয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাদের কাছে তারা বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছেন যে,কোন নির্দেশ জারি করার আগে যেন কাউন্সিলরদের মতামত জেনে নেওয়া হয়। কারণ তারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন। তাদের মতামত অগ্ৰাহ্য করে উপর থেকে কোনো নির্দেশ চাপিয়ে দিলে সেটা যথাযোগ্য হবে না। এর থেকে সহজে বলা যায় তাতে জনগণের মতকে মর্যাদা দেওয়া হবে না। ‌সংখ্যাগরিষ্ঠ কাউন্সিলররা যাকে চান, যার মাধ্যমে তারা কাজ করতে পারবেন, নিশ্চিতভাবে তাকেই চেয়ারম্যান করা উচিত বলে তারা মনে করেন।

যে কাউন্সিলররের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ নেই,এমন কাউন্সিলরকেই এবং যিনি গণসংগঠন করে কাঁচরাপাড়ার মানুষকে উজ্জীবিত করতে পারেন তেমন মানুষকেই চেয়ারম্যান করা উচিত বলে তারা মনে করেন।

তারা আশা করেন উচ্চ নেতৃত্ব তাদের এই কথা শুনবেন তাদের বক্তব্যকে মান্যতা দেবেন।