অবতক খবর,২৬ সেপ্টেম্বরঃ কাঁচরাপাড়া আনন্দ বাজার হকার্স কর্নারে স্বর্ণালী ট্রেডার্স নামে এক ব্যাগের দোকান রয়েছে। সেই দোকানটি নিয়ে গন্ডগোল চলছে এবং জল ঘোলা হচ্ছে। এই দোকানটির প্রকৃত মালিক মালতী হালদার। তার নামেই ট্রেড লাইসেন্স রয়েছে এবং ইলেকট্রনিক বিল, প্রফেশনাল ট্যাক্স সমস্ত কিছুই তিনি দিয়ে যাচ্ছেন নিয়মিতভাবে। উল্লেখ্য এই দোকানটির পূর্বের মালিক ছিলেন ছায়া সাহা ২০১১ সালে। পরবর্তীতে ২০১২ সালে মালতী হালদার তার থেকে দোকানটি ক্রয় করেন এবং দোকানের আইনগত ট্রেড লাইসেন্স সমস্ত কিছুই তিনি নিজ নামে করে নেন এবং এর যে রিনিউয়াল তিনি নিজের নামে করেছেন।

মালতী হালদারের স্বামী মানব হালদার এরই মধ্যে একটি গন্ডগোল পাকিয়ে ফেলেন। তিনি ব্যবসার জন্য বাবলু ঘোষ নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে ১ লক্ষ টাকা ৩ শতাংশ সুদে ধার করে বসেন। মাধব হালদার জানান যে পরবর্তীতে তিনি ১৯ মাস ধরে এই ৩ শতাংশ সুদ বাবলু ঘোষকে দিয়ে গেছেন।

তিনি আরো জানান, বাবলু ঘোষ কোনরকম ভাবে তাকে দিয়ে ১০ টাকার একটি স্ট্যাম্প পেপারে সই করিয়ে নেন এবং পরবর্তীতে দেখা যায় যে,ওই ১০ টাকার স্ট্যাম্পে বাবলু ঘোষ দাবি করছেন যে, তিনি ওই স্বর্ণালী দোকানটি কিনতে আগ্রহী। তিনি মাধব হালদারকে বলেন যে, তিনি ১ লক্ষ টাকা দিয়েছেন এবং দোকান বাবদ আরও সাড়ে ৬ লক্ষ টাকা দিয়ে দেবেন। অর্থাৎ দোকানটি তিনি সাড়ে ৭ লক্ষ টাকায় কিনতে চান।

এই প্রসঙ্গে দোকান মালিক মালতী হালদার জানান, দোকান আমার নামে,হয়তো আমার স্বামী টাকা নিয়েছে। যদিও তার কোন লিখিত চুক্তি পত্র কিছুই নেই। তাহলে আমার স্বামী যদি ওই টাকা নিয়ে থাকেন তবে তারজন্য আমার নামের দোকান তিনি কিনবেন কিভাবে? কোন আইন অনুযায়ী তিনি আমার এই দোকানটি নিতে চান?

যখন বিষয়টি নিয়ে গণ্ডগোল দীর্ঘতর হতে থাকে তখন তিনি বিধায়ক শুভ্রাংশু রায়ের কাছে যান। সেই সময় তিনি তৃণমূল দলে ছিলেন এবং এই বিষয়টি দেখভাল করার জন্য সোমনাথ সাঁধুখাকে দায়িত্ব দেন। মালতী হালদার বলেন,সোমনাথ সাধুখাঁ তাদের সকলকে নিয়ে একটি বৈঠক করেন। কিন্তু বাবলু ঘোষ রাজি হননি। তিনি আরো জানান, আনন্দবাজার হকার্স কর্ণারের পুরনো কমিটিতে ছিলেন গোবিন্দ সাহা,অশোক সাহা,সেন্টু ঘোষ। কিন্তু এখন তাদের বাদ দিয়ে নতুন কমিটি গঠন হয়েছে। ‌

সেই কমিটির সভাপতি প্রাণেশ্বর মন্ডল। এই বিষয়টি মিটমাট না হাওয়ায় মালতি হালদার যখন দোকান খুলতে আসেন তখন কেন্দ্রীয় কমিটিতে যারা ছিলেন শান্তি রঞ্জন দাস,নির্মল তপাদার এরা মিলে থানায় ফোন করে তার দোকান বন্ধ করে দেন,এমনি অভিযোগ করেন মালতি হালদার। তারা তাকে কেন বিরক্ত করছেন তা তিনি কিছুতেই বুঝতে পারছেন না। তবে শান্তিরঞ্জন দাস এবং নির্মল তপাদারের বিরুদ্ধে মালতি দেবী অভিযোগ করে বলেন যে তারাই বাবলু ঘোষকে মদত দিচ্ছেন। এখন তিনি এই নিয়ে কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন।

১৪৪ এবং ১০৭ এই ধারায় কোর্টে কেস করেন। কিন্তু কেস করার পরেও মালতি দেবী যখন দোকানে যান তখন তারা তাকে দোকানে ঢুকতে দেননি,এমনি অভিযোগ করেন মালতী দেবী। তিনি আরো অভিযোগ করে বলেছেন, দোকানের সমস্ত কাগজপত্র আমার নামে রয়েছে। ট্রেড লাইসেন্স, ট্যাক্সের কাগজ, ইলেকট্রিক বিল সমস্ত কিছু আমার নামে রয়েছে। তবে কিভাবে বাবলু ঘোষ এই দোকানের মালিক হতে পারেন? কি করে কেন্দ্রীয় কমিটি আমাকে এই দোকান খুলতে বাধা দেন? এই নিয়ে তিনি এখন বিপাকে পড়েছেন।
এই করোনাকালে তার কোনো আয় নেই। ফলে তিনি এখন অত্যন্ত দুঃসহ অবস্থায় রয়েছেন।