অবতক খবর,৮ জুলাইঃ আজ কাঁচরাপাড়া ওয়ার্কশপ রোডের রেল লাইনের ধারে সকাল থেকেই একটি মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। আজ সকাল ৭ টা নাগাদ ওই অঞ্চলের এক দোকানদার দোকান খুলতে গিয়ে দেখেন রেল লাইনের ধারে একটি মৃতদেহ পড়ে রয়েছে। কিন্তু সকাল ৭টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত মৃত দেহটি সেখানেই পড়ে থাকে। স্থানীয়রা পুলিশের খবর দেন সকালেই। এই দীর্ঘ সময় মৃতদেহ পড়ে থাকলেও উদ্ধার করে নিয়ে যায়নি পুলিশ। কারণ বীজপুর থানা বলছে ওই অঞ্চলটি হালিশহর থানার অন্তর্গত, আর হালিশহর থানা বলছে ওই অঞ্চলটি কাঁচরাপাড়ার অন্তর্গত। যার জেরে এলাকাবাসীদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়। এরপরেই ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন বীজপুর পুলিশ প্রশাসন এবং জেঠিয়া থানার পুলিশ আধিকারিকরা। তারা রেল আধিকারিকদের সাথে কথা বলে তড়িঘড়ি ওই দেহটি উদ্ধার করে নিয়ে যান।
তবে প্রশাসন এ বিষয়ে মুখ খুলতে নারাজ।
এলাকাবাসীরা প্রশ্ন তুলেছেন যে একটি মৃতদেহ উদ্ধার করতে এত সময় কেন লাগলো? কোথায় গেল তাদের দায়িত্ব এবং মানবিকতা? চূড়ান্ত গাফিলতি দেখা গেল রেল প্রশাসনেরও।
শেষমেষ এক ভ্যানচালককে ধরে বেঁধে,ধমক দিয়ে মৃতদেহটি রেল হাসপাতালে পাঠানো হলো।
কিন্তু এইখানেই প্রশ্ন উঠছে যে, রেল আধিকারিকদের কাছে কি মৃতদেহ তোলার লোক নেই? রেললাইনের ধারে মৃতদেহটি এতক্ষণ পরে থাকলো কেন? তারাই বা এতক্ষণ চুপচাপ বসে রইলেন কেন?
অন্যদিকে আরপিএফ শেষমেষ মৃতদেহটি রেল হাসপাতালে ওই ভ্যান চালক মারফত পাঠিয়ে দিলেও তারা কেউ যাননি। ফলত রেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মৃত দেহটি বাইরে ফেলে রাখে। চেন গেট ৪ নং অ্যাভিনিউ এর সামনে ভ্যানের উপরে ফের দীর্ঘক্ষণ মৃতদেহটি পড়ে থাকে। এমতাবস্থায় ভ্যান চালকের মাথায় হাত পড়ে।
ভ্যানচালক বলেন,”এ কোন বিপদ আমি বয়ে নিয়ে এলাম!”
রেল প্রশাসনের এই উদাসীনতা দেখে ক্ষুব্ধ হয়ে যান এলাকাবাসীরা। অবশেষে ঘটনাস্থলে আসেন বীজপুর পুলিশ প্রশাসন। তারা তাদের নিজের দায়িত্বে দেহটি কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালে পাঠান।