অবতক খবর,১১ সেপ্টেম্বর: কাঁচরাপাড়া কলেজে দুই পক্ষের লড়াই। এটি ইগো নাকি এর পেছনে রয়েছে কোন রাজনৈতিক চাল?
একদিকে রয়েছে কাঁচরাপাড়া কলেজের সভাপতি এবং অন্যদিকে কলেজের প্রিন্সিপাল। তাদের মধ্যে চলছে ইগোর লড়াই।
কয়েকদিন আগেই দেখা গেছে কাঁচরাপাড়া কলেজের যারা কর্মীরা রয়েছেন তারা অবস্থান-বিক্ষোভ করেছিলেন তাদের বেতন বৃদ্ধির দাবিতে।
তিন বছর আগে জিবি বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছিল যে,তাদের বেতন বৃদ্ধি করা হবে। কিন্তু তার প্রায় তিন বছর অতিক্রান্ত হতে চললেও তাদের বেতন বৃদ্ধি করা হয়নি।
বেতন বৃদ্ধি তো দূর এই নিয়ে আর কোন কথাই হয়নি কলেজ কর্তৃপক্ষ এবং কলেজের কর্মীদের মধ্যে।
বীজপুরে নতুন বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছেন সুবোধ অধিকারী। এবার তারা তাদের মনোবল নিয়ে বিধায়ককে বিষয়টি জানিয়েছেন।
কাঁচরাপাড়া কলেজের কর্মীরা জানান, আমরা প্রায় ৪৬ জন চুক্তিভিত্তিক এই কলেজে নিয়োজিত রয়েছি। এছাড়াও ৭ জন স্থায়ী শিক্ষক-শিক্ষিকা রয়েছেন। এই কলেজে প্রায় ৩৫০০ ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে। সেখানে মাত্র ৭ জন স্থায়ী এবং বাকিরা সকলেই চুক্তিভিত্তিক স্টাফ রয়েছি। কেউ ১০ বছর,কেউ ৮ বছর,আবার কেউ ১৫ বছর ধরে কাজ করছে। কিন্তু তাদের বেতন বৃদ্ধি করা হয়নি।
আমরা অবতক-এর পক্ষ থেকে যখন বিষয়টি প্রিন্সিপালের কাছে জানাই, তখন তিনি বলেন, কলেজের সভাপতি বিষয়টি নিয়ে সময় দিতে পারছেন না।
অন্যদিকে কাঁচরাপাড়া কলেজের সভাপতির সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বললে তিনি জানান যে, কাঁচরাপাড়া কলেজের প্রিন্সিপাল ইগো নিয়ে চলছেন। নতুন প্রিন্সিপাল হবার পরেও তিনি একবারও আমার সঙ্গে দেখা করেননি। এমনকি আমাকেও তিনি ডাকেননি।
এই দুই পক্ষের বক্তব্য শুনে হতভম্ব কলেজের বিক্ষোভকারী কর্মীরা।
এ নিয়ে তারা বলেন, এই দুজনের মধ্যে একটা ঠান্ডা লড়াই চলছে। কিন্তু তাতে আমাদের ক্ষতি হচ্ছে।
তাদের অভিযোগ, এবছর এখনও পর্যন্ত আমরা কেউ বোনাস পাইনি। যেখানে আগস্ট মাসেই আমরা আমাদের বেতনের সঙ্গে বোনাস পেয়ে যাই। সামনে পুজো,আমাদের পরিবার আমাদের দিকেই তাকিয়ে রয়েছে। বোনাস না পেলে তাদের জন্য আমরা এখনো কিছু কেনাকাটা করতে পারিনি এই পরিস্থিতিতে আমরা কোথায় যাবো, কার কাছে যাবো তা আমরা বুঝতে পারছি না।