অবতক খবর,১৮ জুলাইঃ কখনো দেখা যাচ্ছে সাদা বালি পাচার হচ্ছে,আবার কখনো লোক চক্ষুর আড়ালে এই সাদা বালি দিয়েই পুকুর ভরাট হয়ে যাচ্ছে। আবার কখনো দেখা যাচ্ছে এই বালির গাড়ির নিচে চাপা পড়ছে মানুষ। কিন্তু তা সত্ত্বেও এই সাদা বালি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্য কমছে না। নেতৃত্ব থেকে প্রশাসন সকলেই মুখে কুলুপ এঁটে বসে আছেন।

গত দুদিন আগেই দেখা গেল কাঁচরাপাড়া জোনপুর হাইওয়েতে একটি সাদা বালি বোঝাই ডাম্পার ধাক্কা মারল এক লরিতে গিয়ে। এই ঘটনায় আহত হন লরি এবং ডাম্পারের চালক উভয়েই। তাদের তড়িঘড়ি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরবর্তীতে বীজপুর থানার পুলিশ গিয়ে ডাম্পারটি বাজেয়াপ্ত করে থানায় নিয়ে আসে।

এ তো গেল দুর্ঘটনার পর পুলিশের ভূমিকার কথা।

তবে এই যে হাইওয়ে দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় সাদা বালি পাচার হয়ে যাচ্ছে,সেটা বন্ধ হচ্ছে না।

এই নিয়ে কেউ বলছে ডিআরএ-এর গাড়ি এগুলি। কেউ বলছে এলএনটি’র জন্য খাটছে এই গাড়িগুলো। এইরকম বিভিন্ন কোম্পানির নাম করে পাশ কাটিয়ে চলে যাচ্ছে এই সাদা বালির গাড়িগুলি।

এই নিয়ে বিগত দিনে আমরা কথা বলেছিলাম এই অঞ্চলে যিনি ডিআরএ কোম্পানির দায়িত্বে রয়েছেন অর্থাৎ প্রসেনজিৎ বাবুর সাথে। তিনি বলেছেন বিষয়টি তিনি দেখছেন।

এখন প্রশ্ন,কোম্পানির নাম করে যে সাদা বালি অবৈধভাবে পাচার হয়ে যাচ্ছে সেটি কি তাঁর নজরে আসছে না ? শিবদাসপুর,জেঠিয়া, পলাশী-মাঝিপাড়া,নৈহাটি হালিশহর,কাঁচরাপাড়া ইত্যাদি জায়গায় অবাধে পাচার হচ্ছে সাদা বালি।

এই বেআইনি সাদা বালি পাচার কবে বন্ধ হবে তা জানে না কেউই।