অবতক খবর,১৩ সেপ্টেম্বরঃ কাঁচরাপাড়া নগর জীবনের রূপকার শিক্ষা আন্দোলনের পথিকৃৎ কাঁচরাপাড়া পৌরসভার তিনবারের পৌর প্রধান রাসবিহারী শাস্ত্রীর আবক্ষ মূর্তি প্রতিষ্ঠা হলো তার নিজের প্রতিষ্ঠিত বিদ্যায়তন কাঁচরাপাড়া মিউনিসিপ্যাল পলিটেকনিক উচ্চ বিদ্যালয়ে। তিনি ছিলেন এই স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালন সভাপতি।
কাঁচরাপাড়া অঞ্চলের শিক্ষা আন্দোলনে তাঁর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। স্বাধীনোত্তর পর্বে কাঁচরাপাড়ার কেন্দ্রীয় অঞ্চলে যত স্কুল গড়ে উঠেছে তাঁর প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ ভূমিকায় ছিলেন তিনি। নারী শিক্ষা আন্দোলনেও তাঁর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। কাঁচরাপাড়া পলিটেকনিক হাই স্কুলটি তিনি নিজে গড়ে তোলেন এবং পরবর্তীতে কাঁচরাপাড়া পলিটেকনিক গার্লস স্কুলটিও তাঁর হাতে তৈরি। নগর প্রধান হিসেবে তাঁকে কাঁচরাপাড়ার রূপকার বলা হয়। তথাকথিত রাজনীতির সংকীর্ণ গণ্ডি অতিক্রম করে তিনি মানব সম্পদ বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করেছিলেন।
কাঁচরাপাড়ায় জল ও বিদ্যুৎ সরবরাহ, কলোনির উন্নয়ন এই তিনটি বিষয়ে তাঁর উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে। এই মহান মানুষটির মূর্তি প্রতিষ্ঠা বা তাঁর নামে কোন রাস্তার নামকরণের বিষয়ে অনেক আগেই প্রশাসনিক উদ্যোগ নেওয়া উচিত ছিল। কিন্তু তাঁর পরবর্তী প্রজন্মের শিক্ষক শিক্ষাকর্মীরা নিজেদের সম্মিলিত উদ্যোগে আজ যে কাজটি করলেন তা কাঁচরাপাড়ার ইতিহাসে গৌরবময় হয়ে থাকবে। কাঁচরাপাড়ার শিক্ষা আন্দোলনে এটি একটি উল্লেখযোগ্য যুগান্তকারী ঘটনা।
এদিন এই সাড়ম্বর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নজরুল গবেষক, নজরুল একাডেমীর সদস্য ডঃ বাঁধন সেনগুপ্ত, কাঁচরাপাড়া কলেজের অধ্যক্ষ প্রণব বেরা, অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক নির্মাল্য মজুমদার, কবি তমাল সাহা, প্রাক্তন শিক্ষক অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায় এবং প্রধান শিক্ষক বিভাস মোদক।
উপস্থিত অতিথিরা প্রত্যেককেই রাসবিহারী শাস্ত্রীর কর্মজীবন নিয়ে আলোচনা করেন।
ছাত্রদের সম্মিলিত গান ও অতিথিবৃন্দের প্রদীপ প্রজ্বলনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানটির সূচনা হয়। রাসবিহারী শাস্ত্রীর আবক্ষ মূর্তি উন্মোচন করেন ডক্টর বাঁধন সেনগুপ্ত। রাসবিহারী শাস্ত্রী সম্পর্কিত একটি পুস্তিকাও প্রকাশ করা হয়।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন স্কুলের প্রধান শিক্ষক শিক্ষিকা, স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষক এবং ছাত্ররা উপস্থিত ছিলেন।