অবতক খবর : কাঁচরাপাড়া এখন কামাইক্ষেত্র হয়ে উঠেছে। যে যেখান দিয়ে পারছে কামাই করছে। বিশেষ করে কাঁচরাপাড়া রেল অঞ্চলে তো কমাইবাজির অন্ত নেই। বলতে গেলে রেল অঞ্চলে চলছে জমির দখলদারি ও বেআইনি কেনাবেচা। এমনই অভিযোগ উঠেছে কাঁচরাপাড়া ৩ নং ওয়ার্ডে। এই ওয়ার্ডে ডাকাতকালী মন্দির সংলগ্ন যে রেল কোয়াটারগুলি রয়েছে,অভিযোগ উঠেছে ওই কোয়াটারগুলির দরজার সামনে, জানালার পিছনে বেআইনিভাবে দোকান গজিয়ে উঠেছে।
এই অভিযোগ তুলেছেন সেখানকার অধিবাসীরা। তারা আরও জানিয়েছেন,এই যে দোকানগুলি সেখানে বেআইনিভাবে গড়ে উঠেছে, এর পেছনে রয়েছে স্থানীয় নেতৃত্ব থেকে শুরু করে প্রশাসন। অন্যদিকে ডাকাত কালী মন্দির সংলগ্ন ভারত সংঘ ক্লাবের ঠিক উল্টোদিকে একটি বিশাল দোকান তৈরি হয়ে গেছে। জানা যাচ্ছে, সেটি রেলের কন্ট্রাক্টর সাউ নামে এক ব্যক্তির দোকান। দোকানটি দেখলে যে কেউ আশ্চর্য হয়ে যাবে। কারণ দোকানটি এতটাই বড় এবং সুসজ্জিত।
সেখানকার অধিবাসীরা জানিয়েছেন, ওই সাউ নামে ব্যক্তি সেখানে রটিয়েছেন যে, তিনি নাকি রেলকে রীতিমতো টাকা দিয়ে এই দোকান সেখান তৈরি করেছেন। এখন প্রশ্ন উঠছে, এই এত বড় দোকান,যা সকলের চোখে পড়ছে সেটা কি প্রশাসনের চোখে পড়ছে না? নাকি রেল প্রশাসন টাকার বিনিময়ে এই সকল বেআইনি কার্যকলাপ ছাড় দিয়েছে? এই বিষয়টি নিয়ে আমরা রেলের অফিসার মিনাবাবুর সঙ্গে কথা বলতে যাই। তিনি বলেন,ওই অঞ্চলের দেখভাল তিনি করেন না।
কালুরাম নামে এক অফিসার ওই অঞ্চল দেখাশোনার দায়িত্বে রয়েছেন। এরপর আমরা যোগাযোগ করার চেষ্টা করি কালুরামের সঙ্গে। কিন্তু তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তবে এও খবর রয়েছে যে, এই দোকানটির বিরুদ্ধে স্থানীয় মানুষের অভিযোগ করেছেন। এরপর আমরা দোকান মালিক সাউয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করি। কিন্তু তার সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, রেলের জমিতে কি এইভাবেই রাতারাতি গজিয়ে উঠবে দোকান?রেল প্রশাসন কেন নীরব ভূমিকা পালন করছে? এর অনুমতি কি রেল প্রশাসন দিচ্ছে নাকি নিজেদের পকেট ভরার জন্য সব কিছুতেই ছাড় দিয়ে রেখেছে তারা?