অবতক খবর,২৬ আগস্ট: কাঁচরাপাড়া টাউন তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি হয়েছেন খোকন তালুকদার। ‌এই নিয়ে বীজপুরের নেতাকর্মীরা অত্যন্ত খুশি।

তবে তাদের মধ্যেও কিছু এমন নেতাকর্মী রয়েছেন, যাদের ভোটের আগে খুঁজে পাওয়া যায়নি, কিন্তু ভোটের পর তাদের এখন খুব মাতব্বরী করতে দেখা যাচ্ছে।
সেই সঙ্গে এখন কিছু নেতাদের দেখা যাচ্ছে যারা অন্যান্য ওয়ার্ডের ছেলেদের নিয়ে নেতা হয়ে উঠেছে।

কিন্তু বীজপুরে নেতৃত্বরাও বারবার বলেছেন, যে ওয়ার্ডের ছেলে সেই ওয়ার্ডের রাজনীতি নিয়ে থাকবে। তা সত্ত্বেও কিছু নেতারা অন্যান্য ওয়ার্ডের ছেলেদের বা বলা যায় কর্মীদের নিজের কাছে টেনে নিয়ে রাজনীতি করছেন।

আর এই নিয়েই মানুষের মধ্যে শুরু হয়েছে বিভিন্ন রকম কথা।

মানুষ বলছেন, অন্যান্য ওয়ার্ড থেকে ছেলেরা এসে নেতাদের সঙ্গে ভিড়ে যাচ্ছে, তাদের সমর্থন করছে। কোন অনুষ্ঠানে সেই নেতা উপস্থিত না থাকলে তার ছেলেরাই উপস্থিত থাকছে।
এই ভাবেই চলছে কাঁচরাপাড়া।
তবে কি নেতা-কর্মীরা নিজেরাই ফের গোষ্ঠী বাজি শুরু করতে চাইছেন?

কোন আলোচনা সভা হোক কিংবা সংবর্ধনা অনুষ্ঠান, সেসব ক্ষেত্রে কিন্তু মানুষের একটা গোষ্ঠীবাজি চোখে পড়ছে। আর সেটা মোটেও ভালো ভাবে নিচ্ছেন না শহরবাসী।

প্রায়ই দেখা যাচ্ছে কোন সংবর্ধনা অনুষ্ঠান হলে, যিনি এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করছেন তিনি তাঁর প্রিয় লোকটিকেই সংবর্ধনা জ্ঞাপন করছেন।
অথবা কোন পিকনিক হলে তাদের প্রিয় মানুষগুলোকেই ডেকে পিকনিকে খাওয়াচ্ছেন।

অথচ যে সকল ওয়ার্ডে এইসব অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে, সেইসব ওয়ার্ডেরই তৃণমূল নেতা-কর্মী বা ছেলেদের ডাকা হচ্ছে না।

আর এই সমস্ত বিষয় বেশি চোখে পড়ছে তৃণমূলের পুরনো কর্মীদের। তারা বীজপুরের উচ্চ নেতৃত্বের কাছে আবেদন করেছেন যাতে তারা এই বিষয়টিতে নজর দেন। এটা যাতে বন্ধ হয়।

অন্য ওয়ার্ডের ছেলেরা যাতে অন্য কোথাও ঢুকে মাতব্বরি না করে,নেতা হওয়ার চেষ্টা না করে, সেইদিকেই নজর দিক নেতৃত্ব।
কারণ এখন বিষয়টি হয়তো ছোটখাটো বলে মনে হতে পারে, কিন্তু গোষ্ঠী বাজি তীব্র আকার ধারণ করলে বিষয়টি সামাল দেওয়া মুশকিল হবে। আর তার প্রভাব দলের উপরেই পড়বে এমনই জানাচ্ছেন বীজপুরের কিছু পুরনো নেতাকর্মী। ‌