অবতক খবর,৯ ফেব্রুয়ারি: একে একে দখল হয়ে যাচ্ছে চারিদিকের বিভিন্ন ফাঁকা জমি। বীজপুরে যে গতিতে জমি দখল হচ্ছে তা হার মানাবে অন্যান্য জায়গাকেও। আমরা কথা বলছি কাঁচরাপাড়া ১৯ নং ওয়ার্ড নৃপেন সরকার রোড স্থিত পাম্প হাউস সংলগ্ন অঞ্চলের এবং চরকতলা মোড়ের।

১৯ নং ওয়ার্ড সুবল স্মৃতি ক্লাব সংলগ্ন প্রায় ৪-৫ কাঠা জমি বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের ছুতোয় দখল হয়ে যাচ্ছে এবং রাতারাতি গড়ে উঠছে বেআইনি দোকান। এমনই জানাচ্ছেন স্থানীয় অধিবাসীরা।
অপরদিকে চড়কতলা মোড় সংলগ্ন অঞ্চলের একটি ফাঁকা জমিতে গাড়ি রাখেন স্থানীয় অধিবাসীরা। কিন্তু সেখানেও দেখা যাচ্ছে গ্যারেজ করার নামে গড়ে উঠেছে বেশ কয়েকটি দোকান।

স্থানীয়দের দাবি,এই অঞ্চল দুটির ফাঁকা জমি স্থানীয় অধিবাসীরা বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে ব্যবহার করেন এবং ছোট ছোট শিশুদের খেলার জায়গা সেটি। কিন্তু যেভাবে জায়গা দুটি দখল হয়ে যাচ্ছে তাতে অসুবিধায় পড়ছেন স্থানীয়রা।

স্থানীয় অধিবাসীরা জানাচ্ছেন,সুবল স্মৃতি ক্লাবের মদতেই এই বেআইনি দোকানগুলো গড়ে উঠছে। এছাড়াও স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব শম্পা শীলের হস্তক্ষেপেই এই কার্যকলাপ চলছে।

চড়কতলা মোড় সংলগ্ন অঞ্চলে রয়েছে একটি বিশাল পুকুর। কিন্তু সেটিও ৮০ শতাংশ ভরাট হয়ে গেছে। তবুও হুঁশ নেই নগর প্রশাসন থেকে শুরু করে থানা প্রশাসন ও শাসক দলের।

এ প্রসঙ্গে স্থানীয়রা লিখিত অভিযোগ করেছেন পৌরসভা,বীজপুর থানা, তৃণমূল চেয়ারম্যান সুবোধ অধিকারী, স্থানীয় নেতৃত্বের কাছে। তা সত্ত্বেও কোন পদক্ষেপই নেওয়া হয়নি এখনও পর্যন্ত।

১৯ নং ওয়ার্ডের এক দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা সরাসরি অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় নেত্রী শম্পা শীলের বিরুদ্ধে। তিনি সরাসরি অভিযোগ করেছেন যে,তার অঙ্গুলিহেলনেই চলছে এই সমস্ত বেআইনি কার্যকলাপ।

এলাকাবাসীরা গণ অভিযোগ করেছেন-
১.কার্যনির্ধারী অধিকারীক,কাঁচরাপাড়া পৌরসভা,
২. কাঁচরাপাড়া শহর তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি,
৩. কাঁচরাপাড়া শহর যুব তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি,
৪. মার্কিন প্রেসিডেন্ট কাঁচরাপাড়া শহর তৃণমূল কংগ্রেস,
৫.আইসি,বীজপুর থানা,
৬.এ.ই.এন কাঁচরাপাড়া ওয়ার্কশপ,
৭.এসএসই/ডব্লিউ/ওয়েস্ট কাঁচরাপাড়া ওয়ার্কশপ,
৮.এসি অফ আরপিএফ কাঁচরাপাড়া ওয়ার্কশপ,
৯. ইন্সপেক্টর ইনচার্জ, লোকো শপ,কাঁচরাপাড়া ওয়ার্কশপ,
১০. ডিএসসি, আরপিএফ, শিয়ালদহ,
১১. এসএসই/এসপিএন কমিটি,ইস্টার্ন রেলওয়ে, কাঁচরাপাড়া,
১২. অ্যাসিস্ট্যান্ট সিকিউরিটি কমিশনার, ইস্টার্ন রেলওয়ে কাঁচরাপাড়া।

তবে বিরোধী দলের একাংশ বলছেন, এখন তো তৃণমূলের বিদায়ের সময়। তাই তারা সব কিছু লুটে নিতে চাইছে। কিন্তু আমরা যখন ক্ষমতায় আসব তখন আমরা সব বদল করে মানুষকে ফিরিয়ে দেব।

ঠিক একই কথা বলছেন এলাকাবাসীরা। তারা বলছেন, সত্যিই হয়তো তাদের বিদায়ের সময়,তাই যে যার মত লুটে নিচ্ছে। কারণ সরকারি জমি থেকে শুরু করে পিডব্লিউডি’র জমি একে একে দখলে চলে যাচ্ছে তাদের।