অবতাক খবর, সংবাদদাতা ::  কাটোয়া হাসপাতালে চলছে মধুচক্র আর এই মধুচক্রের নায়েক স্বয়ং হাসপাতালের ডেপুটি সুপার নিজে । এই মর্মে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ফাঁস হয়েছে। ভিডিও ফাঁস করে এক যুবতী মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানিয়েছেন এটা গুরুত্ব সহকারে দেখার জন্য। তিনি আরো জানিয়েছেন কাজ পাইয়ে দেওয়ার নাম করে ডেপুটি সুপার মহিলাদেরকে  শ্লীলতাহানি করছেন। শোষণ করছেন তাদের শারীরিকভাবে।

শুধু তাই নয় জানা গেছে এর আগে 2013 সালে এক প্রতিবন্ধী মহিলাকে শংসাপত্র দেওয়ার নাম করে তিনি তার শ্রীলতাহানি করেন পরে তিনি টাকা পয়সা দিয়ে ব্যাপারটি মিটিয়ে ফেলেন।

তবে তার এই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ফাঁস হয়ে যাওয়ার পর তিনি অনেকগুলো ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন ।এই মুহূর্তে তিনি এই হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

ডেপুটি সুপারের ঘনিষ্ঠ মুহূর্তে কিছু ছবি সোশ্যাল মিডিয়াতে আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে পড়েছে কাটোয়া শহর জুড়ে। এই ভিডিওটি নিয়ে ব্যাপক চর্চা হচ্ছে। অভিযোগ  যে হাসপাতালে কর্মরত মহিলা কর্মচারীরা তার লালসার শিকার হয়েছেন বহুবার কিন্তু তিনি সবকিছু মিটিয়ে নেন  ক্ষমতার জোর খাটিয়ে। তার সঙ্গে পুলিশের  যোগসাজশ রয়েছে বলে অভিযোগ।

কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে সুপার রতন শাসমল জানান তিনি ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া পোষ্টটি দেখেছেন। তিনি এ ব্যাপারে অভিযুক্ত কে প্রশ্ন করেছিলেন কিন্তু তিনি এই সম্পর্কে একেবারে অস্বীকার করেন। তবে পরে তিনি সকালে ভিডিওটি দেখতে পান। সুপার জানিয়েছেন এটা অবাঞ্চনীয় ঘটনা সেটা একেবারে হওয়া উচিত নয়। তিনি এই নিয়ে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন লিখিতভাবে ও জানাবেন। তিনি বলেন এটা খুবই উদ্বেগজনক ঘটনা। আমি যতদিন এই হাসপাতলে আছি এমন কিছু চোখে পড়েনি। কিন্তু এই অভিযোগের পর তিনি যথাযথ ব্যবস্থা অবশ্যই নেবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি গোটা বিষয়টি বিভাগীয় তদন্ত কথা জানিয়েছেন।