অবতক খবর,১৯ অক্টোবরঃ রেলের মানচিত্র থেকে বঞ্চিত মুর্শিদাবাদের এক মহকুমা শহর কান্দি, এই শহরের মানুষের যাতায়াতের একমাত্র ভরসা সড়ক পথ, কান্দি শহরের রেল যোগাযোগ না থাকাই কান্দি শহরের বাসিন্দাদের দুর্ভোগের শেষ নেই, বিভিন্ন সময় কান্দিতে রেলের দাবিতে বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে আন্দোলন অনশন করা হলেও,কু ঝিকঝিক শব্দ করে ট্রেন আসেনি কান্দিতে।
কান্দির বাসিন্দাদের ট্রেনে চাপার জন্য ৩০ কিলোমিটার দূরে সালার স্টেশন এবং 35 কিলোমিটার দূরে সাঁইথিয়া স্টেশন ও 30 কিলোমিটার দূরে বহরমপুরের দুটি স্টেশন (খাগড়াঘাট রোড স্টেশন এবং বহরমপুর কোর্ট স্টেশন) যেতে হয়। রেল দুর্ভোগ কম করার জন্য কান্দি মাস্টারপ্ল্যানের আওতায় কান্দি থেকে সাটুই পর্যন্ত যাওয়ার ১৯ কিলোমিটার রাস্তা পাশ হয়, সেই ১৯ কিলোমিটার রাস্তার মধ্যে তিনটি নদী, কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে তিনটি নদীর উপরে ব্রিজ করা হলেও রাস্তা আজও হয়নি। যদিও চলতি মাসের ১৬ তারিখ কান্দি বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক অপূর্ব সরকার *সাড়ে আট কোটি টাকা ব্যয়ে কান্দি থেকে সাটুই পর্যন্ত রাস্তার কাজের শুভ সূচনা করেন নারকেল ফাটিয়ে এবং ফিতে কেটে। এই রাস্তার দাবিতে বুধবার লোকসভার পরিষদীয় বিরোধী দলনেতা তথা অধীর রঞ্জন চৌধুরী কান্দির দোহালিয়া বটতলা থেকে শুরু করে সাটুইয়ের চৌরিগাছা স্টেশন পর্যন্ত ১৯ কিলোমিটার পদযাত্রা করলেন। অধীর রঞ্জন চৌধুরী পদযাত্রার শুরুতে কান্দি দোহালিয়া বটতলা এলাকায় পথসভার মঞ্চ থেকে বক্তৃতার মাধ্যমে বলেন *”কান্দির মানুষের রেল দুর্ভোগের কথা মাথায় রেখে যখন ইউ পি এ সরকার ছিল তখন আমি এই এলাকার সংসদ হিসেবে কান্দি মাস্টারপ্ল্যান পাশ করায় তৎকালীন অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখার্জির হাত ধরে, সেই মাস্টারপ্ল্যান এর মধ্যে আমি তিনটে ব্রিজের কথা এবং কান্দি থেকে সাটুই পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণের বিষয়টিও উল্লেখ করেছিলাম সব টাকা সাংসেন হয়ে গিয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকার ব্রিজ করে দিল, তবুও রাজ্য সরকার সামান্য একটা রাস্তা এখনো পর্যন্ত বানাতে পারল না, কংগ্রেসের পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী আজ আমরা পদযাত্রা করছি আমাদের পদযাত্রার কথা শুনে এখানকার বিধায়ক দু-তিন দিন আগে সেই রাস্তার কাজের উদ্বোধন করেছেন যাতে আমাদের পদযাত্রা না হয়, লোকে যাতে বলে রাস্তা উদ্বোধন হওয়ার পর সেই রাস্তার দাবিতে পদযাত্রা করছে অধীর বাবু, আমরা তো থামার লোক নই পদযাত্রা করব এবং এই রাস্তার জন্য যতদূর যেতে হয় আমরা যাব”।
অন্যদিকে বুধবারের এই পদযাত্রা প্রসঙ্গে কান্দের বিধায়ক অপূর্ব সরকার বলেন *”যে রাস্তা উদ্বোধন আমরা ১৬ তারিখ করেছি সেই রাস্তা নির্মাণের দাবিতে আবার পদযাত্রা করছেন এখানকার সংসদ, আমার মনে হয় তিনি সুগার কমানোর জন্য হাঁটছেন, প্রদেশ কংগ্রেস এখন মুর্শিদাবাদ জেলার বহরমপুর লোকসভার মধ্যে সীমিত হয়ে গিয়েছে, নেই নেই কাজ তো খই ভাজ তার জন্যই আজ সংসদ মশাই হেঁটে বেড়াচ্ছেন” । সব মিলিয়ে এখন দেখার বিষয় রাজনৈতিক এই টানাপোড়নের মধ্যে আদতে কবে কান্দির বাসিন্দারা হাতের কাছে রেলস্টেশন যাওয়ার জন্য রাস্তা পাবে।