অবতক খবর,১১ নভেম্বর: কালীপুজো উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে কাঁচরাপাড়ায় দেখা গেল নেতা-মন্ত্রীদের চাঁদের হাট। মন্ত্রী,সাংসদ, বিধায়ক, মুখ্যমন্ত্রীর ভাই এবং অন্যান্য নেতৃত্বরা চলে এলেন সটান কাঁচরাপাড়ায়। মন্ত্রী বেচারাম মান্না,নির্মল ঘোষ,কার্তিক ব্যানার্জী, মন্ত্রী রথীন ঘোষ, ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়, সাংসদ অর্জুন সিং,প্রাক্তন বিধায়ক শুভ্রাংশু রায় সহ আরো অনেকেই এলেন কাঁচরাপাড়ায়। তবে প্রাক্তন বিধায়ক শুভ্রাংশু রায় ও সাংসদ অর্জুন সিং-এর অন্য কর্মসূচি ছিল কাঁচরাপাড়ায়।
এই প্রথম কাঁচরাপাড়া ৮ নং ওয়ার্ড কলেজ সংলগ্ন অঞ্চলে কাউন্সিলর রিঙ্কু সিংহ রায়ের উদ্যোগে হচ্ছে বড়মা’র পুজো। এই পুজো উদ্বোধনে হাজির হয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাই কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়,মন্ত্রী বেচারাম মান্না, মন্ত্রী রথীন ঘোষ, নির্মল ঘোষ,ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়, বীজপুর বিধায়ক সুবোধ অধিকারী সহ অন্যান্যরা।
অন্যদিকে এই একই দিনে বীজপুরের তৃণমূল নেতা সুজিত দাস কাঁচরাপাড়া কুমোড়পাড়া অঞ্চলে যে বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করেছিলেন সেখানে উপস্থিত ছিলেন সাংসদ অর্জুন সিং,প্রাক্তন বিধায়ক শুভ্রাংশু রায়, কাঁচরাপাড়া পৌরসভার প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যান মাখন সিনহা, তৃণমূল নেত্রী আলোরানি সরকার সহ তৃণমূলের বহু পুরনো নেতৃত্বরা।
তবে অঞ্চলে সারা ফেলে দিয়েছেন রিঙ্কু সিংহ রায়। গতবছরের পুজোতেও একাধিক নেতা-মন্ত্রীরা কাঁচরাপাড়ায় এসেছিলেন। এবারেও শহরে চাঁদেরহাট তাঁর পুজোকে কেন্দ্র করে।
আর এইসব দেখে বীজপুরের মানুষ আলোচনা করতে শুরু করেছেন যে, সুজিত দাস এবং রিঙ্কু সিংহ রায় অঞ্চলে সারা ফেলেছেন এবং গুরুত্ব পাচ্ছেন।
কারণস্বরূপ তারা বলছেন যে, শহরে তথা এই বিধানসভায় তো বহু অনুষ্ঠান এবং দলীয় কর্মসূচি হয় কিন্তু মন্ত্রীদের এইভাবে আসতে দেখা যায় না। তারা এও বলছেন যে, এই অঞ্চলের কোনো কাউন্সিলর এত নেতা মন্ত্রীদের এর আগে এইভাবে আনতে পারেন নি। তাই এখন সকলের নজর পড়েছে রিংকু সিংহ রায় এবং সুজিত দাসের উপর। নেতা-মন্ত্রী সহ সাধারণ মানুষও বলছেন যে, রিঙ্কু সিংহ রায় এলাকার উন্নয়ন করেছেন।
উল্লেখযোগ্যভাবে দেখা গেল কাঁচরাপাড়ায় দুটি গোষ্ঠী দুটি আলাদা আলাদা জায়গায় একই দিনে অনুষ্ঠানের আয়োজন করল। বীজপুরের মানুষ প্রত্যক্ষ করলেন একই দল কিন্তু দলের নেতা কর্মীরা দুটি আলাদা গোষ্ঠীতে বিভক্ত হয়ে গিয়েছেন।