অবতক খবর,৩ মে: দীর্ঘ লকডাউনের পর মাতাল বা মদ্যপায়ীদের কাছে সুসংবাদ। আগামীকাল থেকে খুলে যাচ্ছে মদের দোকান বড় বড় শপিং মল। কনটেইনমেন্ট এলাকা ছাড়া অন্যান্য এলাকার মদের দোকানগুলো খুলছে। নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে, মদ ক্রেতাদের পরস্পরের থেকে ২ গজ দূরে দাঁড়াতে হবে অর্থাৎ সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিং এর দূরত্ব ২ গজ মানতেই হবে। একবারে ৫ জনের বেশি মানুষের কাছে মদ বিক্রি করা যাবে না।
এখন প্রশ্ন তুলেছেন সাধারণ নাগরিকরা যে,মদ কি নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির মধ্যে পড়ে? মানুষ যখন অনাহারে মরছে,রেশন ডিলার যখন চাল কম দিচ্ছে, বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন দলীয় নেতাদের বাড়িতে চাল পাওয়া গেছে, নেতারা চাল চোর হিসেবে পরিণত হয়েছেন, বিভিন্ন সংবাদপত্রে সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখাচ্ছে তখন এই পেটের দানাপানি, এই অন্ন চাল,ডাল,গমের চেয়ে কি মদ বিক্রি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় হয়ে দাঁড়ালো? গরীব মানুষেরা কি মদ খেয়ে বাঁচবেন? তার মানে দেখা যাচ্ছে করোনা বড়লোকের স্বার্থের দিকেই চলে যাচ্ছে।
স্থানীয় সাধারণ নাগরিকদের এই প্রশ্ন। সরকার মদ বিক্রিকে এত গুরুত্ব দিচ্ছে কেন? এটা সত্যই যে পশ্চিমবঙ্গ এখন সবচেয়ে বেশি রাজস্ব পাচ্ছে মদ থেকে। এই মদের দোকান বন্ধ থাকার কারণে তার রাজস্ব আদায় কম হচ্ছে। এই মুহূর্তে মদপ্রেমীদের কাছে এটা ব্রেকিং নিউজ যে সরকার মদের দোকান খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
অনুমান, আগামীকাল যেহেতু দোকান প্রথম খুলছে মদ কেনার জন্য হুড়োহুড়ি পড়ে যাবে। নিশ্চিতভাবে আইন-শৃঙ্খলা বিঘ্নিত হবে। তা রক্ষা করার জন্য পুলিশকে ময়দানে নামতে হবে।এই মদের দোকান খোলার বিষয়ে কয়েকজন মহিলার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে,তারা এতে অত্যন্ত ক্ষুব্ধ। তারা বলেন যে, এই কারণে বাড়িতে ঝামেলা, দাম্পত্য কলহ বাড়বে। কারণ এই যে অঢেল অবসর হয়তো বা সকাল বেলা থেকেই মদ্যপানে আসরে বসে যাবে বাড়িতে।নেই কাজ তো খই ভাজ!ফলে বাড়িতে গৃহ শান্তি নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
অন্যদিকে অনেক ব্যবসায়ীরা বলেছেন, মদ এমন কি নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস যে, তারা দোকান খুলতে পারবে আর আমাদের মত সাধারণ ব্যবসায়ীদের দোকান বন্ধ রাখতে হবে। আমাদের কথা সরকার ভাবলেন না? তাহলে কি বোঝা যাচ্ছে? সরকার দেশকে কোন দিকে নিয়ে যাচ্ছে? অন্যদিকে পুলিশের কাজের দায়িত্ব অনেক বেড়ে গেল। এই মদ খাওয়ার ফলে নানা রকমের অশান্তি ঘটবে পুলিশকে সেইদিকেও নজরদারি করতে হবে। আর লকডাউনেরও নজরদারি করতে হবে।