বীজপুর বিধানসভার তৃণমূল ও বিজেপি প্রার্থীর নোমিনেশন জমা দেবার দিনেই নজিরবিহীন সন্ত্রাস🔥
অবতক খবর,৩১ মার্চ: আজ মনোনয়ন জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে দফায় দফায় সংঘর্ষ বাধে ব্যারাকপুর এসডিও অফিসের সামনে। আজ ৩১শে মার্চ দুই দলেরই অর্থাৎ তৃণমূল ও বিজেপির মনোনয়ন জমা দেবার দিন ছিল। কিন্তু দুই দল মুখোমুখি হবার পরেই দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ব্যারাকপুর। চলে হাতাহাতি,গোলাগুলি। এই ঘটনায় দুই দলের পক্ষেই বহু কর্মী আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। বিজপুর বিজেপি প্রার্থী শুভ্রাংশু রায় তিনিও আহত হয়েছেন তাছাড়া স্বাগতম দাস সঞ্জয় গুপ্তা ও অনিল সাউ আহত হয়েছেন |
যদি মনোনয়ন জমা দেওয়ার দিনই এমন সংঘর্ষ বাঁধে, তাহলে নির্বাচনের প্রাক্কালে এবং নির্বাচনের দিন কত কর্মী যে প্রাণ হারাবে সে নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন বীজপুরবাসী।
বীজপুরবাসী এখন প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন যে, নির্বাচন কমিশন এই এত বড় ভুল কিভাবে করতে পারে? কেন তারা একই দিনে দুটি দলকে মনোনয়ন জমা দেওয়ার জন্য নির্ধারিত করলো? আর যদি তা ইচ্ছাকৃতভাবেই করে থাকে তাহলে সেই রকম পরিকাঠামো বা তাদের আলাদা আলাদা সময় দেওয়া হয়নি কেন? তারা বলছেন, আজ যে ঘটনা ঘটেছে তার সম্পূর্ণ দায় নির্বাচন কমিশনের।
গত লোকসভা নির্বাচনের সময়ও ব্যারাকপুর কেন্দ্র অত্যন্ত উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। সেইসব স্মৃতি মনে পড়লে আঁতকে ওঠেন বীজপুরবাসী। কিন্তু তারা চান না এই শান্ত বীজপুরে ফের অশান্তির সৃষ্টি হোক। বীজপুরবাসী বলছেন, যেখানে ব্যারাকপুর অঞ্চলে বিভিন্ন দলের এত তাবড় তাবড় নেতারা রয়েছেন,রয়েছেন এমন কিছু নেতা যারা একে অপরের ঘোর বিরোধী, তারা মুখোমুখি হলে তো সংঘর্ষ বাঁধবেই,এ তো সকলেরই জানা। তবে এই ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের দুই দলের বিধানসভার প্রার্থীদের কি করে একই দিনে ডাকতে পারেন তারা? তবে কি ঘটনাটি ইচ্ছাকৃতভাবে ঘটানো হলো? শান্ত ব্যারাকপুরকে অশান্ত করার জন্য কি এই চক্রান্ত?
আজকের ঘটনার পর এই সকল প্রশ্ন তুলতে শুরু করে দিয়েছেন আমজনতা। এরপরেও যে সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন হবে, এই কথা ভাবতেই পারছেন না ব্যারাকপুর তথা বীজপুরবাসী।