অবতক খবর,১৬ জুলাই,মলয় দে নদিয়া:-ফুলিয়া পরেশনাথপুরে বাড়ি প্রখ্যাত কাপড়ের ব্যবসায়ী পরিমল বসাকের নাম ভাঙিয়ে ওই এলাকারই উজ্জ্বল মৈত্র দীর্ঘদিন ধরে সাধারণ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চেকের মাধ্যমে ধারে কাপড় কিনে টাকা পরিশোধ করেন না এমনই অভিযোগ শান্তিপুরের নানান তাঁত বস্ত্র ব্যবসায়ীদের।

শান্তিপুর নিশ্চিন্তপুরের ব্যবসায়ী বাপ্পাদিত্য খার কাছে উজ্জ্বল মিত্র নামে ওই ব্যক্তি পরিমল বসাকের নাম ভাঙিয়ে ফোন করেন কিছু মূল্যবান কাপড় নেওয়ার জন্য। তবে সামান্য কিছু ক্যাশ দিলেও বেশিরভাগ চেকে প্রদান করতে চান তিনি। যথারীতি বাপাদিত্য খাফুলিয়ার ওই এলাকার বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের কাছে জানতে পারেন পরিমল বসাক নামে একজন প্রকৃত প্রতিষ্ঠিত কাপড় ব্যবসায়ী রয়েছেন । তবে তিনি ভূণাক্ষরেও জানেন না পরিমল বসাক নামে ওই ক্রেতার প্রকৃতপক্ষে নাম উজ্জ্বল মৈত্র ।

পরের দিন বাপ্পাদিত্য খা এর বাড়িতে তার মেয়ে পরিমল বসাকের নামে দেওয়া ৩২ হাজার টাকার ওই চেক রেখে কাপড় দিয়ে দেন। কিন্তু বাপ্পাদিত খা বাড়ি ফিরে এসে চেক দেখে কিছুটা সন্দেহ হয় । সন্দেহ আরো পরিষ্কার হয়, ঠিক পরের দিন চেক বাউন্স করার কারণে তিনি পরিমল বিশ্বাসকে ফোন করেন ফোন যিনি ধরেন তিনি পরিমল বিশ্বাসের ভাইপো নামে পরিচয় দেন অথচ দুজনেরই কণ্ঠস্বরের সাথে হুবহু মিল শুনে। তবে সামান্য কিছু টাকা দিয়ে আবারো মাল নেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করলে বাপ্পাদিত্য বাবু তাকে ধরার জন্য টোপ হিসাবে তা গ্রহণ করেন।

যথারীতি গতকাল তার বাড়িতে আবারো কাপড় নিতে আসলে তিনি পুলিশ প্রশাসনকে জানানোর কথা বলতেই এবং পাশাপাশি আরো দুই একজন কাপড়ের ব্যবসায়ী প্রতারণার দায়ে তাকে উচ্চস্বরে কথা বললে তিনি সমস্তটাই স্বীকার করেন। এরপর দু’নম্বর গেট, সূত্রাগড়, সহ শান্তিপুরের বিভিন্ন পাড়া থেকে নিমেষের মধ্যে উজ্জ্বল মিত্রের কাছে পাওনাদার ব্যবসায়ীরা ভিড় জমান। ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। তবে আশ্চর্যের বিষয় কেঁচো খুঁড়তে বেরিয়ে এসেছে কেউটে তিনি শুধু কাপড়ের ব্যবসা সংক্রান্ত প্রতারক নয় , তার কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে চারটি ভিন্ন নামে তোলা সিম এবং বারটি পরিচয় পত্র যা নাম বিভিন্ন হলেও ছবি তার এর মধ্যে তার নামে আধার কার্ডই রয়েছে আটটি।

আজ তাকে রানাঘাট কোর্টে পাঠানো হয়েছে। অন্যদিকে পুলিশ চালাচ্ছে পরিমাণ বসাক নামে ওই ব্যক্তির চেক কিভাবে উজ্জ্বল মৈত্র ব্যবহার করে সেই সন্ধানে, এতগুলো আধার কার্ড এবং একই ব্যক্তির ছবি এক হলেও বিভিন্ন নামে ভিন্ন পরিচয়পত্র ব্যবহারকারী এই ব্যক্তির সাথে কার কার যোগাযোগ আছে এবং কোন কোন অপরাধের সঙ্গে যুক্ত তার খতিয়ে দেখতে জেলা পুলিশ পর্যন্ত বিষয়টি নিয়ে মাঠে নেমেছে।