অবতক খবর,১২ নভেম্বর: কেলেঘাই নদী সংস্কারের সময় নদীর বুক থেকে ওঠা পলি মাটি বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ। যে মাটি বাঁধের উপর ফেলা উচিত ছিল তা বিক্রি করে দিয়েছে শাসক দলের নেতারা। পটাশপুরে কেলেঘাই নদী তীরবর্তী মানুষের এই অভিযোগে তৃণমূল ও বিজেপির চাপানৌতর শুরু হয়েছে।
গত ১৬ই সেপ্টেম্বর রাতে কেলেঘাই নদীর বাঁধ ভাঁঙ্গে। প্লাবিত হয় পটাশপুর ভগবানপুর চন্ডিপুর ও এগরা বিধানসভার বিস্তীর্ণ অংশ। ক্ষতিগ্রস্ত হয় লক্ষ লক্ষ মানুষ। বন্যায় দেড় মাস পরে বেশ কিছুটা নেমে আসে জল। প্রাথমিক ধাক্কা সেরে নতুন করে ঘর বাঁধার কাজ শুরু করেছে মানুষ। কিন্তু কয়েকশো কোটি টাকা খরচা করে কেলেঘাই নদী সংস্কার হওয়ার পর কেন ভাঙলো নদী বাঁধ। সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন এলাকার মানুষ। স্থানীয়দের অভিযোগ কেলেঘাই নদী সংস্কারের সময় নদীর বুক থেকে ওঠা মাটি বাঁধের উপর সামান্য পরিমাণে দেওয়ার পর বাকি মাটি বিক্রি করে দেয়া হয়েছে। ফলে যা হওয়ার তাই ঘটল। মাটি বিক্রির এই অভিযোগ রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে।
বন্যাদুর্গতদের এই অভিযোগের পিছনে বিজেপির রাজনীতি আছে বলে পাল্টা তোপ দেগেছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতারা। বিজেপি বাড়িতে বসে চক্রান্ত করছে কুৎসা করছে। কেলেঘাই সংস্কারে যে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও মিথ্যা বলে উড়িয়ে দিয়েছেন তৃণমূল নেতারা।
অন্যদিকে বিজেপি কেলেঘাই নদীর মাটি বিক্রি ঘটনায় তীব্র নিন্দা করছে।
বন্যায় নিয়ে সাধারণ মানুষের মনে কেলেঘাই সংস্কার নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ পাচ্ছে। আর তা থেকে রাজনৈতিক মুনাফা লোটার চেষ্টা করছে বিজেপি। ফলে কেলেঘাই বন্যা নায়ে গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ইস্যু হয়ে উঠতে চলেছে পটাশপুর ভগবানপুর চন্ডিপুর সহ পূর্ব মেদিনীপুর জেলার রাজনীতিতে।