অবতাক খবর, বিশেষ সংবাদদাতা :: হায়দ্রাবাদ পশু চিকিৎসক প্রিয়াঙ্কা ধর্ষণ ও হত্যার পর ফের একবার দেশজুড়ে এর জন্য ফাঁসির দাবি নিয়ে সমস্ত দেশের মানুষ সরব হয়েছেন।
বিভিন্ন রাজ্য জুড়ে চলছে প্রতিবাদ মিছিল বিক্ষোভ কর্মসূচি দেশজুড়ে চলছে মোমবাতি মিছিল 2012 সালের নির্ভযা কাণ্ডের পর একবার ফের দেশের মানুষ প্রিয়াংকার ধর্ষকদের কঠোর শাস্তির দাবি তুলে সরব হয়েছেন।
কিন্তু এতসব কিছুর পরেও দেশের আইন ব্যবস্থা এতটাই ঢিলেঢালা যে আজ নির্ভযার ধর্ষণ ও হত্যার 7 বছর কেটে গেলেও আজও তাদের সাজা হয়নি। নির্ভয়া কান্ড কাটুয়া কান্ড এবার হায়দ্রাবাদের প্রিয়াঙ্কা কান্ড চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখাচ্ছে যে আমাদের আইনি ব্যবস্থার কতটা জটিল আর এই ব্যবস্থার সুযোগ নিয়ে বেঁচে যাচ্ছেন সমাজের শত্রুরা। জঘন্যতম অপরাধ করেও পারপেয়ে যাচ্ছেন অপরাধীরা।
নির্ভয়া কাণ্ডের পর বলা হয়েছিল ফাস্ট ট্রাক কোর্ট তৈরি করে দ্রুত বিচার ব্যবস্থার করে ফাঁসির সাজা দেওয়া হবে ধর্ষণকারী ও খুনিদের কিন্তু বিচার ব্যবস্থা জটিলতা এখনো এমন অবস্থায় যে জঘন্য অপরাধ করেও বেঁচে যাচ্ছে তারা আর এর ফলে ধর্ষণের মত অপরাধের ওপর কিছুতেই নিয়ন্ত্রণ আনা যাচ্ছে না।
তবে আমাদের দেশের বাইরে কিছু এমনও দেশ রয়েছে যেখানে ধর্ষণ ও খুনের মতো সাজা ব্যাপক দ্রুত ও ব্যাপক কঠোরভাবে দেওয়া হয় আসুন দেখে নেই এমন দেশগুলোর দিকে একনজর কি সাজা হয়েছে সেখানে
সবচেয়ে প্রথমেই বলি আমাদের প্রতিবেশী দেশ চীনের ব্যাপারে কিনে ধর্ষণের সাজা মৃত্যুদণ্ড রয়েছে এই দেশে ধর্ষণ ক্ষেত্রে দ্রুত সাজা দেওয়ার রেওয়াজ রয়েছে তারা ধর্ষণের মতন দুষ্কর্মের জন্য বহু মানুষকে মৃত্যুর সাজা দিয়ে নাজির তৈরি করেছে। এই অপরাধের জন্য গুলি করে হত্যা বা ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার রেওয়াজ রয়েছে এই দেশে।
এবার কথা বলি উত্তর কোরিয়ার। এই দেশে ধর্ষণের সাজা একটাই, তা হচ্ছে চরম সাজা। সকলের সামনে দাঁড়িয়ে মাথায় গুলি করে হত্যা করা হয় ধর্ষককে। আইন অনুযায়ী এই দেশের কোন ধর্ষকের সাথে কোন রকম সহানুভূতি দেখানো যাবে না।
এবার কথা বলি পোল্যান্ডের। এই দেশে ধর্ষণের মতন জঘন্যতম অপরাধের জন্য ধর্ষককে কষ্ট দিয়ে মারা হয় শুয়োরের খামারে ধর্ষককে ছেড়ে দেওয়া হয় সুগারের কামড় দিয়ে তাকে মৃত্যুর দেওয়া হয় ততক্ষণ রাখা হয় যখন মৃত্যুর না হয়ে যায় বর্তমানে নতুন আইন আনা হয়েছে তা হচ্ছে দর্শকের যৌনাঙ্গ কেটে দেওয়া বা তাকে হিজরে করে বা নপুংশক করে ছেড়ে দেওয়া হয়।
ইন্দোনেশিয়াযৌন নির্যাতনের জন্য এক অদ্ভুত সাজানো হয়েছে এই দেশে ধর্ষকের যৌন ক্ষমতা নষ্ট করে দেওয়া হয় শুধু তাই নয় ধর্ষকের শরীরে মহিলা হরমোন ঢুকিয়ে দেওয়া হয় এটা এতটাই দ্রুত করা হয় যে ধর্ষক সারাজীবন আর কোন কাউকে ধর্ষণ করার মত যোগ্য থাকে না বরঞ্চ তাকেও মহিলার মত শারীরিক গঠন নিয়ে তাকে আজীবন বাঁচতে হয়।
সৌদিআরবে ইসলামিক আইন রয়েছে এখানে যৌননিগ্রহের জন্য সাজা মৃত্যু বা যৌনাঙ্গ কেটে ফেলা বা গলা কেটে হত্যা করার মতন সাজা দেওয়া হয় সোজা কথায় মৃত্যু অবধারিত।
ইরাকে আবার অন্যতম সাজার রয়েছে ধর্ষকের জন্য কডা ও ভারী নিশংস ভাবে হত্যা করা হয় অপরাধীকে। দেশের আইন অনুযায়ী অপরাধীকে পাথর মেরে হত্যা করার রেওয়াজ রয়েছে ভিড়ের সামনে এই অপরাধীকে ছেড়ে দেয়ার চারপাশে মানুষ দাঁড়িয়ে পাথর মেরে মেরে তাকে হত্যা করে তাকে ততক্ষণ পাথর মারা হয় যতক্ষণ তার মৃত্যুর না হয়ে যায়।
সংযুক্ত আরব আমিরাতে এই ঘটনার অপরাধীকে অপরাধের জন্য মৃত্যুদন্ড অবধারিত ঘটনার 7 দিনের মধ্যে অপরাধীকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দেওয়া হয় এসব মামলায় অপরাধের জন্য মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার রেওয়াজ রয়েছে।
প্রতিবেশী দেশ আফগানিস্তানের ধর্ষণের জন্য কঠোর সাজা রয়েছে এখানে অপরাধীদের জন্য মাথায় গুলি মেরে হত্যা করা ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দেওয়ার কথা রয়েছে তবে এখানে বিচার দ্রুত হয় মাত্র 4 দিনের মাথায় অপরাধীকে এই সাজা দিয়ে দেওয়া হয়।
ইজিপ্টের যৌন নির্যাতনের ক্ষেত্রে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া আইন রয়েছে এই দেশে ধর্ষককে বাঁচিয়ে রাখা হয়না ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দেওয়া হয় যতক্ষণ ঝুলিয়ে রাখা হয় যতক্ষণ না তার মৃত্যু ঘটে যায় । হ্যাং till death।