অবতক খবর ১৮ ডিসেম্বরঃ ভারতবর্ষ বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ। সংবিধানগত ভাবে প্রত্যেকেরই কথা বলবার স্বাধীনতা আছে। রাজনৈতিক দলগুলির কর্মকাণ্ড এই দেশে লজ্জাকর হয়ে উঠেছে এবং বিশ্বের কাছে এইসব কারণে নিশ্চিত ভারতবর্ষের মাথা হেঁট হচ্ছে। বর্তমান সময়ে পশ্চিমবঙ্গীয় রাজনীতিতে যেসব ঘটনা ঘটে চলেছে তা বাঙালি জাতির কাছে অবমাননাকর বলে অনেকেই মনে করেন।
পঞ্চায়েত ব্যবস্থাকে ভারতবর্ষের সরাসরি জনসংযোগমূলক শাসনব্যবস্থা বলা হয়। জনগণের শিকড় রয়েছে এই ব্যবস্থায়। সেই ব্যবস্থায় যারা পরিচালক তারা যদি কোন অবৈধ কাজও করে থাকেন তবে রাজ্য পঞ্চায়েত দপ্তর বা পঞ্চায়েত মন্ত্রী তার ওপর যে নির্দেশ জারি করতে পারেন তা কি কোন দলীয় নেতা তার সর্বগ্রাসী ক্ষমতা দেখিয়ে তাকে পদত্যাগের নির্দেশ দিতে পারেন? এই নির্দেশনামা অনৈতিক বা অসংবিধানিক কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এক্ষেত্রে রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী বা তার দপ্তরের গুরুত্ব অনেক লঘু হয়ে গিয়েছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
পশ্চিমবঙ্গের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা এমনিতেই বিতর্কের জ মুখে। শিক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত উচ্চপদস্থ তথা পরিচালক বিভাগের প্রধানরা প্রায় সকলেই হাজতবাস করছেন। পশ্চিমবঙ্গে শিক্ষা স্বাস্থ্য আবাস যোজনা ক্ষেত্রে ব্যাপক দুর্নীতি ও অন্যায় ধরা পড়েছে। এই সময়ে দলীয় ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। জনগণের শাসন ব্যবস্থা অর্থাৎ নির্বাচিত সরকারের শাসনব্যবস্থা সম্পূর্ণ দলীয় আগ্রাসনের মুখে পড়েছে।
এটা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার পক্ষে কিছুতেই সমন্বয় শোভন নয় বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
তৃণমূল দলের সর্বভারতীয় সম্পাদক প্রকাশ্য সমাবেশে দুটি ক্ষেত্রে পঞ্চায়েত প্রধানের পদত্যাগের নিদান হেঁকেছেন, এ নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।