অবতক খবর,৯ ডিসেম্বর: ক্ষমতার দম্ভে বিচার ব্যবস্থাকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখাতে গিয়ে জেলের ঘানি টানতে হচ্ছে বামপন্থী নেতাদের। ঘটনা 2015 সালের ২রা সেপ্টেম্বর ৫টি বাম পন্থী সংগঠনের ডাকে সারা ভারত বন্ধ ডাকা হয়েছিল আর সেই ভারত বন্ধকে কার্যকর করতে তৎকালীন বামপন্থী সংগঠনের নেতাকর্মীরা বিলোনিয়া শহরজুড়ে লাল সন্ত্রাস কায়েম করে আর এই লাল সন্ত্রাসের নেতৃত্বে ছিলেন বিলোনিয়া সিপিআইএম বিভাগীয় কমিটির সম্পাদক তাপস দত্ত, সিপিআইএম দলের সন্ত্রাসের মাস্টারমাইন্ড ত্রিলোকেশ সিংনহা,অপর একজন কৃষক নেতা বাবুল দেবনাথ।

শহর জুড়ে ছিল লাল কমরেড দের সন্ত্রাসের তাণ্ডবলীলা ক্ষমতার অপব্যবহার করে সাধারণ মানুষকে দোকানপাট ভাঙচুর থেকে শুরু করে লুট সবকিছু হয়েছিল কিন্তু বামপন্থীদের ভয়ে কেউ তৎকালীন সময়ে মুখ খুলতে পারেনি। বামপন্থীরা এতটাই উগ্র হয়ে গিয়েছিল যে অফিস আদালত থেকে শুরু করে কোন কিছু বাদ ছিল না তাদের সন্ত্রাসের কার্যকলাপ থেকে। তারই একটি নিদর্শন দেখতে পেয়েছিল বিলোনিয়া শহর বাশি।

বলা বাহুল্য ত্রিপুরা রাজ্যে প্রথম কোন বিচারকে এভাবে হেনস্থা হতে হয়েছিল বন্ধ কে কেন্দ্র করে ।রুহি দাস পাল কে বন্ধকে সফল করার জন্য বাধা দান করা হয় এবং উনাকে হেনস্তা করা হয়।রুহিদাস পাল তৎকালীন সময়ের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারপতি ছিলেন, সিপিআইএম দলের বিলোনিয়া বিভাগীয় সম্পাদক তাপস দত্ত ত্রিলোকেশ সিংনহা ও বাবুল দেবনাথ এর নামে একটি মামলা রুজু করেন যে মামলাটির নাম্বার ছিল 113 /2015 আইও হিসেবে নিযুক্ত হন এসআই শংকর সাহা বিলোনিয়া থানা।

টানা ছয় বছর এ মামলাটি চলে আজ সেই মামলার রায় বের হয়। আদালত মামলার নাম্বার:PRC(WP)94/2016 রায় দেন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফাস্ট ক্লাস শ্রীমতি মীত্রা দাসের কোট সিপিএম বিভাগীয় সম্পাদক তাপস দত্ত কে ত্রিলোকেশ সিংনহা ও বাবুল দেবনাথ 447 দু মাসের জেল এবং 5 হাজার টাকা জরিমানা করেন এছাড়া 353 ধারা অনুসারে দু’বছরের জেলের রায় দান করেন। বাংলায় সরকারপক্ষের পক্ষ থেকে 22 জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয় তিন বছর সাক্ষ্য গ্রহণ করে অবশেষে আজ এই রায় ঘোষণার পর বিলোনিয়া শহরজুড়ে এক বিভিন্ন মহলে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।