অবতক খবর ,বিজু ,বর্ধমান :- বিজেপি ক্ষমতায় আসার জন্য বড় বড় স্বপ্ন দেখায়, সেই স্বপ্ন একটাও পুরন করেনা। কিন্তু আমাদের সরকার যেটা বলে সেটাই করে দেখায়। যেখানে শিলান্যাস হয়েছে সেই কাজ সম্পূর্ণ করেছি। এই কথা জানালেন পশ্চিম বর্ধমান জেলার তৃনমূলের সভাপতি জিতেন্দ্র তিওয়ারি। শনিবার জামুড়িয়া টাউন হলে জামুড়িয়া বিধানসভা কর্মী সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে , জিতেন্দ্র তিওয়ারি বললেন আমরা বড় বড় স্বপ্ন দেখায় না, যেটা বলি সেটাই করে দেখায়। তিনি বলেন, গত ৬ মাস কোভিড ১৯ এর পরিস্থিতিতে সবাই অসুবিধার মধ্যে ছিল, কিন্তু এই পরিস্থিতিতে একদিনে আমাদের সরকার একদিকে আমাদের দল যৌথ ভাবে চেষ্টা করেছি চাল, গম, ডাল দিয়ে মানুষের যাতে কোনো কষ্ট না হয়। অথচ বিরোধীরা যারা জামুড়িয়া ক্ষমতায় আছে- বিধায়ক আসানসোলের সাংসদ কে কতবার এলাকায় দেখা গেছে।
এলাকার মানুষ কেমন আছে তার খোঁজ পর্য়ন্ত নেয়নি। সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় গত ৩-৪ দিন আগে এসেছেন। গত ৬ মাস কোভিড ১৯ এর পরিস্থিতিতে এলাকায় না থাকায় সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে ,তিনি বলেন, আমি এলে আমাকে দেখার জন্য ভিড় বেড়ে যায়। করোনা সংক্রম এড়াতেই তিনি আসিনি। জিতেন্দ্র বলেন, তাহলে ও তাকে ফোনেও আসানসোলে বাঁ জামুড়িয়ার মানুষের খবর কি আছে তা এলাকার কাউন্সিলারের কাছে খবর নিতে পারতেন। তিনি বলেন মোবাইলে খবর নিলে তো করোনা সংক্রম হত না। জিতেন্দ্র বাবু বলেন সামনে ভোট তাই আসানসোলে চলে এলেন। জিতেন্দ্র বাবু পঞ্চায়েতে যেভাবে উন্নয়ণ হচ্ছে যদি জামুড়িয়া বিধায়ক থাকাত আমদের সাংসদ থাকত তবে জামুড়িয়া আরও উন্নয়ন করা সম্ভব হত। তাই আগামী নির্বাচনে জামুড়িয়া থেকে বিধানসভা দিদির হাতে তুলে দেব। বিজেপির নবান্ন অভিযান সম্পর্কে তিনি বলেন, আমাদের বিশ্বাস আর বিজেপি ক্ষমতায় আসছেনা। বিজেপির জেনে গেছে ভোটে জিতার ক্ষমতায় আসতে পারব না, তাই জোর করে নবান্নে ঢুকার চেষ্টা করছে। তিনি বলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলিপ ঘোষ ওই অভিযান কে শান্তিপূর্ন অভিযান বলছেন। বিজেপিরা আগ্নেয়াস্ত্র, ইট, পাথার, লাঠি , নিয়ে মিছিল করছে। তিনি বিজেপির উদ্যেশে বলেন সেই দিন নবান্নে যে শান্তি পূর্ণ মিছিল আপনার করলেন সেই রকম শান্তি পূর্ণ মিছিল আমাদের ১ ঘণ্টা করতে দিলে বিজেপির কি হবে। তিনি বলেন আমরা ওই রকম রাজনীতি করিনা, বদল চাই বদলা নয়,রাজনীতিতে বিশ্বাসী। তাই করজোড়ে নিবেদন গণতান্ত্রিক ভাবে আপনারা মানুষের কাছে যান, আমরাও মানুষের কাছে যাব। মানুষের সাথে কথা বলুন। যদি গুন্ডামি করেন , তৃণমূল রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করবে।
রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটক প্রধানমন্ত্রীকে মিথ্যাবাদি ও ধাপ্পা বাজ বলে কটাক্ষ করেন। তিনি বলেন ২০১৪ সালে মোদী ক্ষমতায় আসার আগে বলেছিলেন ২ কোটি বেকারকে চাকরি দেব, বিদেশ থেকে কালোধন এনে বেকারদের ব্যাঙ্ক এ্যাকাউন্ডে ১৫ লাখ টাকা দিয়ে দেবে। ক্ষমতায় আসা ৬ বছরে তিনি একটাও কথা রাখেনি। তিনি বলেন বিজেপি মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় আসায় চেষ্টা করছে। কোভিড ১৯ এর পরিস্থিতিতে হটাত করে লক ডাউন ঘোষনা করে দিলেন। তিনি সাধারন মানুষের কথা চিন্তা করলেন না। যারা দিন আনে দিন খায় তাদের অবস্থা কি হবে। কিন্তু আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের মানুষের কথা ভেবে বিনা মুল্যের রেশনের ব্যবস্থা করে দিলেন। তাদের রেশন কার্ড আছে তারাও পারে যাদের নেই তারাও পাবে।
তিনি ২১ জুলাই মঞ্চ থেকে ঘোষনা করেছেন যদি ২০২১ সালে ক্ষমতায় আসে তবে সারা জীবন বিনা মূল্যে রেশন পাবে রাজ্যের মানুষ। অথচ প্রধানমন্ত্রী লক ডাউনের ১৫ দিন মাথায় দেশবাসি উদ্যোসে বার্তা দেয় সন্ধ্যায় ঘরের থালা ঘণ্টা বাজাও। আরও ১৫ দিন পর রাতে প্রদীপ জ্বালাও বার্তা দেন। এই সব করে মানুষের পেট ভরবে। মলয় বাবু বলেন বিজেপির মতো তৃনমূল কংগ্রেস কে মানুষের কাছে মিথ্যা বলতে হবেনা। তৃনমূল যে কাজ করেছে তা মানুষের কাছে তুলে ধরতে হবে। মমতা বন্ধ্যোপাধ্যায় এই রাজ্যের জন্য যান করেছে তা কোনো রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী করেনি। তিনি বলেন বিধান রায় যদি বাংলার রুপকার হন তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হলেন বাংলার নব রুপকার। এই কর্মী সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিম বর্ধমান জেলার তৃনমূলের সভাপতি জিতেন্দ্র তিওয়ারি, রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটক, তৃনমূলের রাজ্য সম্পাদক ভি শিবদাসন(দাসু), অভিজিৎ ঘটক, সাধন রায়, সুকুমার ভট্টাচার্য়, হরেরাম সিং, রুপেশ যাদব সহ আরও অনেকেই।